ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডানপন্থী প্রার্থী ড্যানিয়েল নোবোয়া জয়লাভ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী প্রার্থী লুইসা গঞ্জালেজের চেয়ে তিনি সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর, গঞ্জালেজ ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন।
নির্বাচনে জয়ী নোবোয়া এর আগে ২০২৩ সালে দ্রুত অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনেও জয়লাভ করেছিলেন। এবার তিনি পূর্ণ চার বছরের জন্য দেশের শাসনভার হাতে পেয়েছেন।
নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
নির্বাচনে নোবোয়ার জয়কে অনেকে অপ্রত্যাশিত বলছেন। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে গঞ্জালেজের থেকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথম রাউন্ডে শক্তিশালী আদিবাসী নেতা লিওনিদাস ইজার সমর্থন ছিল গঞ্জালেজের সঙ্গে।
ইকুয়েডর বর্তমানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত সহিংসতায় জর্জরিত। দেশটির বন্দরগুলো দিয়ে কোকেন পাচারের রুট তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
বছরের শুরুতে, এখানে প্রতিদিন গড়ে একটি করে হত্যার ঘটনা ঘটছিল। মাদক ব্যবসার কারণে সৃষ্ট এই সহিংসতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে, পর্যটকদের আগমনও কমে গেছে।
এর ফলে, দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ড্যানিয়েল নোবোয়া, যিনি একটি ধনী পরিবার থেকে এসেছেন, ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তা নীতির ওপর জোর দেন। তিনি সামরিক বাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছিলেন, মাদক পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন।
জনগণের মধ্যে মাদক বিরোধী অভিযানকে তিনি ‘মানো দুরা’ বা কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্বাচনে জয়ের পর নোবোয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ইকুয়েডরের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে। আমরা আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করব।” তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্বাচন নিয়ে করা কারচুপির অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা