ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে, সহিংসতার মোকাবিলায় ভোটারদের রায়
ইকুয়েডরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আগামী রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং অন্যদিকে বামপন্থী রাজনীতিবিদ লুইসা গঞ্জালেজের মধ্যে মূল লড়াই হবে। এই নির্বাচন দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নির্ধারণ করবে কিভাবে তারা ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং অপরাধ মোকাবেলা করবে।
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নোবোয়া জয়লাভ করেন। তিনি অপরাধ দমনের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর নীতি হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং প্রয়োজনে বিদেশী সাহায্য নেওয়া। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি করার প্রস্তাব করেছেন তিনি। তবে, তাঁর এই কঠোর পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
অন্যদিকে, লুইসা গঞ্জালেজ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ার নীতির সমর্থক। গঞ্জালেজ নির্বাচনে জিতলে সামাজিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অপরাধ দমনের জন্য আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গঞ্জালেজও সম্ভবত নোবোয়ার মতোই কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন।
ইকুয়েডরের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, বিজয়ীকে সহিংসতা ও অর্থনৈতিক সংকট—উভয় দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভোটের ফল খুব কাছাকাছি হলে উভয় পক্ষই কারচুপির অভিযোগ আনতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ইকুয়েডরে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন