স্কটিশ টানে নিয়ে অপমান! এডিথ বোম্যানের কথায় আবেগ

স্কটিশ রেডিও ব্যক্তিত্ব ইডিথ বৌম্যান এবং তাঁর মায়ের মধ্যে কথোপকথন: সাফল্যের পথে আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব

ইডিথ বৌম্যান, যিনি একাধারে রেডিও উপস্থাপক এবং চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতের পডকাস্ট ‘সাউন্ট্র্যাকিং’-এর হোস্ট, তাঁর মায়ের সঙ্গে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজেদের জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন।

এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে ইডিথের কর্মজীবনের শুরু থেকে বর্তমান সময়ের নানা গল্প, যেখানে তাঁর মায়ের অবদান অনস্বীকার্য।

ইডিথের জন্ম ১৯৭৪ সালে, স্কটল্যান্ডের ফাইফ-এ।

তাঁর মায়ের নাম এলিনর বৌম্যান।

ইডিথ জানিয়েছেন, তাঁর রেডিও ক্যারিয়ার শুরু হয় এডিনবার্গ-এর কুইন মার্গারেট ইউনিভার্সিটি কলেজে কমিউনিকেশন স্টাডিজ করার সময়।

এরপর তিনি এমটিভি ইউকে-তে একজন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।

নব্বই দশকের শেষের দিকে, বিবিসি রেডিও ১, রেডিও ২ এবং ৬ মিউজিকের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে তাঁর কাজ করার সুযোগ হয়।

ইডিথ জানান, তাঁর মায়ের কাছ থেকে তিনি কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা পেয়েছেন।

তাঁদের পরিবার একটি হোটেল চালাত, যেখানে ইডিথ ছোটবেলা থেকে কাজ করতেন।

তিনি বলেন, “হোটেলটি ছিল আমার বেড়ে ওঠার এক দারুণ জায়গা।

এখানে আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে শিখেছি।”

ইডিথ আরও যোগ করেন, তাঁর মা সব সময় তাঁকে সমর্থন করেছেন এবং জীবনের কঠিন সময়ে পাশে থেকেছেন।

আঞ্চলিক ভাষার প্রতি সম্মান: সাফল্যের চাবিকাঠি

ইডিথ তাঁর স্কটিশ উচ্চারণ নিয়ে শুরুতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

তিনি জানান, অনেক সময় তাঁকে তাঁর আঞ্চলিক ভাষার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তিনি কখনোই নিজের ভাষা পরিবর্তন করতে রাজি হননি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আমার স্কটিশ পরিচয় নিয়ে গর্বিত।

আমার মনে হয়, এটাই আমার সাফল্যের একটা বড় কারণ।”

তাঁর মা এলিনর বৌম্যান ইডিথের শৈশব এবং বেড়ে ওঠার কথা বলতে গিয়ে বলেন, “ছোটবেলায় ইডিথকে দেখে মনে হতো, সে একদিন অনেক দূর যাবে।”

তিনি আরও জানান, ইডিথ সব সময় নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছে এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।

এলিনর বলেন, “আমি আমার মেয়ের জন্য খুবই গর্বিত, কারণ সে কখনো হার মানেনি।”

পরিবারের বন্ধন: অনুপ্রেরণার উৎস

সাক্ষাৎকারে ইডিথ এবং তাঁর মা তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে কথা বলেছেন।

ইডিথ জানান, মা এলিনর সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন এবং কঠিন সময়ে সাহস জুগিয়েছেন।

এলিনর বলেন, “আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, আমার সন্তানদের ভালো রাখতে।

ইডিথ আমার জীবনে আলো জ্বেলেছে।”

ইডিথ মাঝেমধ্যে তাঁর মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন।

তাঁর মা একবার প্রিমাল স্ক্রিমের একটি কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ করছিলেন।

ইডিথ বলেন, “আমার মা যেখানেই যান, সেখানকার পরিবেশকে আনন্দে ভরিয়ে তোলেন।”

উপসংহার

ইডিথ বৌম্যান এবং তাঁর মায়ের এই কথোপকথন আমাদের দেখায় যে, সাফল্যের পথে লেগে থাকার এবং নিজের শিকড়ের প্রতি অবিচল থাকার গুরুত্ব কতখানি।

মা এবং মেয়ের এই অটুট বন্ধন, তাঁদের জীবনের কঠিন সময়ে একে অপরের প্রতি সমর্থন, আমাদের সকলের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা।

ইডিথের জীবনের গল্প প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং পরিবারের সমর্থন থাকলে যে কোনো প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *