**কানাডার ‘স্ট্যানলি কাপ খরা’ ঘোচাতে মরিয়া এডমন্টন অয়েলার্স: স্বপ্ন একটাই, কাপ জিততে হবে**
কানাডার ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ সময় ধরে চলা একটি দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এবার যেন কোমর বেঁধে নেমেছে এডমন্টন অয়েলার্স।
প্রায় তেত্রিশ বছর ধরে ‘স্ট্যানলি কাপ’-এর জন্য হাহাকার কানাডার, আর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
কানাডার মানুষের কাছে হকি খেলাটা শুধু একটা খেলা নয়, বরং এটি তাদের জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
টরন্টোতে অবস্থিত হকি হল অফ ফেম-এ খেলাটির গৌরবময় ইতিহাস সংরক্ষিত আছে, যা কানাডার মানুষের কাছে এক বিশেষ সম্মানের জায়গা।
কিন্তু সেই খেলাতেই যেন এখন তারা পিছিয়ে।
শেষবার ১৯৯৩ সালে মন্ট্রিয়ল ক্যানাডিয়ান্স-এর হাত ধরে এসেছিল সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফি, তারপর থেকে যেন একরাশ হতাশা।
এই মুহূর্তে, ফ্লোরিডা প্যান্থার্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল সিরিজে ২-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে এডমন্টন অয়েলার্স।
তবে, খেলায় এখনো অনেক কিছুই সম্ভব।
অতীতেও এমন পরিস্থিতিতে ফিরে আসার উদাহরণ রয়েছে তাদের।
গত বছরও তারা ০-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
অয়েলার্সের অন্যতম প্রধান তারকা, পাঁচবারের শীর্ষ স্কোরার এবং তিনবারের ‘হার্ট ট্রফি’ জয়ী, কনর ম্যাকডেভিড-এর দিকে তাকিয়ে পুরো কানাডা।
তাঁর নেতৃত্বেই যেন স্বপ্ন দেখছে সবাই।
ম্যাকডেভিডের স্বপ্ন, দলের প্রতিটি সদস্যের স্বপ্ন একটাই– বহু প্রতীক্ষিত স্ট্যানলি কাপ জয় করে কানাডার হকি ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।
আমরা জানি, আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা ফ্লোরিডা প্যান্থার্সকে হারাতেই মাঠে নামব। আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ তাদের দিকে
কানাডার প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় কেভিন লো-এর মতে, “কানাডার খেলোয়াড়েরা অন্য দেশের হয়ে স্ট্যানলি কাপ জিতলেও, ১৯৯৩ সালের পর থেকে কাপটা কানাডায় না আসাটা সত্যিই হতাশাজনক।
এবার হয়তো কানাডার অন্য দলগুলোর সমর্থকরাও চাইবে, অয়েলার্স যেন কাপ জিতে নেয়।”
আরেক কিংবদন্তি, ওয়েইন গ্রেটস্কি মনে করেন, ম্যাকডেভিডের নেতৃত্বেই এবার সেই খরা কাটতে পারে।
গ্রেটস্কি বলেন, “আমি নিশ্চিত, ম্যাকডেভিডই সেরা খেলোয়াড়।
সে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, এবং এডমন্টনে খেলতে ভালোবাসে।
তার একটাই চাওয়া– স্ট্যানলি কাপ জয় করা।”
খেলাধুলার বিশ্লেষকদের মতে, এবার এই খরা কাটানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
কারণ, ম্যাকডেভিডের মতো খেলোয়াড় দলের সঙ্গে থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব।
তবে, মাঠের বাইরের একটি বিষয়ও এখন বেশ চর্চায়।
আর সেটি হলো, জয়ের পর ড্রেসিংরুমে বাজানো একটি গান।
“পিঙ্ক পোনি ক্লাব” নামের এই গানটি এখন অয়েলার্স খেলোয়াড়দের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।
এডমন্টন অয়েলার্সের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ফ্লোরিডার বিরুদ্ধে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সেই সাথে ভাঙতে হবে দীর্ঘদিনের এই কাপ-খরা।
পুরো কানাডার মানুষ তাকিয়ে আছে তাদের দিকে, আশায় বুক বেঁধে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন