নজর পরিবর্তনে ইইওসির প্রধান, ডিইআই ইস্যুতে বিতর্কের ঝড়!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি সংস্থা কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বিষয়ক কর্মসূচি খতিয়ে দেখছে, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ ফেডারেল সংস্থা, ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট अपॉर्चुनिटी কমিশন (ইইওসি)-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান, আন্দ্রেয়া লুকাস সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) বিষয়ক কর্মসূচিগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিইআই বিষয়ক কার্যক্রমগুলো সীমিত করার আগ্রহের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

লুকাসের এই পদক্ষেপের ফলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই সংক্রান্ত কিছু ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স’ ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছেন এবং বিভিন্ন ল’ ফার্মকে চিঠি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। সাবেক ডেমোক্রেটিক ইইওসি কর্মকর্তা এবং সুপরিচিত নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো লুকাসের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে ডিইআই প্রোগ্রামগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনের পরিবর্তে তা আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, লুকাসের এই পদক্ষেপ সঠিক এবং এর মাধ্যমে ডিইআই বিষয়ক কিছু কার্যক্রমের ফলে কর্মক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি হতে পারে, তা প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার মনে করে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিইআই কর্মসূচি থাকা উচিত, তবে এর নামে যেন কোনো ধরনের বৈষম্য না হয়। এই বিষয়ে কর্মীদের সচেতন করার জন্য ইইওসি কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ, কর্মী সহায়তা গোষ্ঠী এবং ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মতো বিষয়গুলো, কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে বৈষম্যমূলক হতে পারে। এই ধরনের কর্মসূচিগুলো যদি কর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে, তাহলে তা আইনের পরিপন্থী হতে পারে।

আন্দ্রেয়া লুকাস, ইইওসির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডিইআই প্রোগ্রামগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, অনেক কোম্পানি তাদের ডিইআই কার্যক্রমের মাধ্যমে আসলে বৈষম্য তৈরি করছে।

লুকাসের এই পদক্ষেপের কারণে অনেক সংস্থাই এখন তাদের ডিইআই বিষয়ক কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে। তবে, লুকাস একা চাইলেই ইইওসির নিয়মকানুন পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ, এই ধরনের পরিবর্তনের জন্য কমিশনের অন্য সদস্যদের সমর্থন প্রয়োজন।

আন্দ্রেয়া লুকাসের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক চললেও, ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *