“এল চাপো”-র ছেলের সাজা? অবশেষে মুখ খুলল আদালত!

মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট ‘এল চাপো’র ছেলের মৃত্যুদণ্ড চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক চক্রের প্রধান ‘এল চাপো’র ছেলে জোয়াকিন গুজমান লোপেজের মৃত্যুদণ্ড চাইবে না। শিকাগোতে তার বিরুদ্ধে আনা একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে মার্কিন অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু বাউট্রোস এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে, কেন এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

জোয়াকিন গুজমান লোপেজের আইনজীবী হিসেবে অনলাইনে পরিচিত জেফরি লিখটম্যান এক ইমেইল বার্তায় জানান, এই সিদ্ধান্তে তিনি খুশি। তার মতে, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি আরও জানান, জোয়াকিন এবং তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে তাকিয়ে আছেন।

জোয়াকিন গুজমান লোপেজ হচ্ছেন সিনালোয়া কার্টেলের সাবেক প্রধান জোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজমানের ছেলে। ফেডারেল প্রসিকিউটরদের তথ্য অনুযায়ী, এল চাপো ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ কোকেনসহ অন্যান্য মাদক পাচার করেছেন। ২০১৯ সালে তাকে একাধিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, জোয়াকিন গুজমান লোপেজ ও তার ভাই ওভিদিও গুজমান লোপেজ ‘চাপিতোস’ নামে পরিচিত সিনালোয়া কার্টেলের একটি অংশের নেতৃত্ব দিতেন। এই অংশটি যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০২৩ সালে প্রসিকিউটররা সিনালোয়া কার্টেলের ডজন খানেক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, যাদের মধ্যে এই দুই ভাইও ছিলেন।

ফেডারেল কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসে টেক্সাসে জোয়াকিন গুজমান লোপেজ এবং সিনালোয়ার আরেক শীর্ষ নেতা ইসমায়েল ‘এল মায়ো’ জাম্বাদাকে গ্রেপ্তার করে। তাদের একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে আসার সময় ধরা হয়।

জোয়াকিন গুজমান লোপেজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, মাদক ব্যবসা এবং মাদক বিতরণের ষড়যন্ত্রসহ মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। জানা গেছে, ওভিদিও গুজমান লোপেজকেও মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি নিজেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে, আদালতের রেকর্ড অনুসারে, আগামী ৯ জুলাই তিনি প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে তার অভিযোগ পরিবর্তন করতে পারেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসার গভীরতা এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *