মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচন: ট্রাম্পের ক্ষমতা যাচাই এবং ডেমোক্র্যাটদের জন্য পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী।
আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যেগুলি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইসঙ্গে, বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটদের জন্যও এই নির্বাচনগুলো নিজেদের শক্তি প্রমাণ করার সুযোগ নিয়ে এসেছে।
এই নির্বাচনগুলোর ফলাফলের দিকে এখন সারা বিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর। এই নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর, লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পদ সহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে।
এই নির্বাচনের ফল শুধু সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এর প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতেও পড়বে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন রাজ্যে ভোট গ্রহণের সময়সূচি ভিন্ন হবে।
যেমন, ভার্জিনিয়া রাজ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়, যা বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা। নিউ জার্সিতে ভোট গ্রহণ শেষ হবে রাত ৮টায়, যা বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা।
নিউইয়র্ক সিটিতে ভোট গ্রহণ শেষ হবে রাত ৯টায়, যা বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা। ক্যালিফোর্নিয়ায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে রাত ১১টায়, যা বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা।
বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও সময়ের ভিন্নতা দেখা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, ভার্জিনিয়ায় গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ভোট গণনা শুরু হয়েছিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে। নিউ জার্সিতে প্রথম ভোট গণনা শুরু হয়েছিল রাত ৮টা ২ মিনিটে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটের ফল আসতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছিল। আসন্ন নির্বাচনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে রিপাবলিকান উইনসাম আর্ল-সিয়ার্স এবং ডেমোক্রেট অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গারের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই রাজ্যে লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে ডেমোক্রেট গাজালা হাশমি এবং রিপাবলিকান জন রেইডের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
এছাড়াও, অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ডেমোক্রেট প্রার্থী জে জোনস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী জেসন মিয়ারিসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নিউ জার্সির গভর্নর পদের জন্য ডেমোক্রেট প্রার্থী মিকি শেরিল এবং রিপাবলিকান জ্যাক সিয়াটারেলির মধ্যে লড়াই হবে।
নিউইয়র্ক সিটিতে মেয়র পদে ডেমোক্রেট প্রার্থী জোহরান মামদানি, সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো (যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন) এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিভার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচনে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসের মানচিত্র নতুন করে তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তবে তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রাক্তন গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার, প্রাক্তন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এবং প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতা চার্লস মুঙ্গার জুনিয়র সহ একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনগুলো শুধু একটি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচক নয়, বরং তা বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, এই নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তাই, এই নির্বাচনের দিকে এখন সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহ রয়েছে। তথ্য সূত্র: সিএনএন
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			