একটি বিশাল আকারের হাতিসীল, যা সাধারণত দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যায়, সম্প্রতি কেপ টাউনের কাছে গর্ডনস বে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার সকালে, স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়ির সামনে প্রায় ২ টন ওজনের একটি সীলকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন, যা নিঃসন্দেহে একটি বিরল দৃশ্য ছিল।
ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং উৎসুক জনতা তাদের মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে শুরু করে। “আরে, এখানে কিভাবে এলে?” – এমনটাই শোনা যাচ্ছিল স্থানীয়দের কণ্ঠে। শহরের রাস্তা ধরে সীলটির এই অপ্রত্যাশিত বিচরণ অনেকের কাছেই ছিল কৌতূহলের বিষয়।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং একটি নিরাপত্তা সংস্থা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সীলটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তারা তাদের টহল গাড়ি দিয়ে সীলটিকে ঘিরে ধরে, যাতে সে আরও দূরে যেতে না পারে।
কিন্তু বিশাল শরীরের প্রাণীটি একপর্যায়ে একটি গাড়ির হুডের ওপর বিশ্রাম নেয় এবং অন্য একটি গাড়ির উপর আরোহণ করার চেষ্টা করে, যা উপস্থিত সবার জন্য এক মজাদার দৃশ্য ছিল। পরে অবশ্য সে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং রাস্তার অন্য পাশে একটি ফুটপাত ধরে হাঁটতে শুরু করে।
অবশেষে, সীলটি একটি শপিং মলের কাছে এসে থামে। এরপর বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মীরা এসে পৌঁছান। তারা আশঙ্কা করছিলেন যে সমুদ্র থেকে অনেক দূরে চলে আসায় সীলটি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে এবং পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে।
তাই, তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পশুচিকিৎসকের সহায়তায় সীলটিকে শান্ত করা হয় এবং এরপর এটিকে একটি বিশেষ ট্রেলারে করে কাছের একটি উপসাগরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে এটি নিরাপদে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরে যেতে পারে।
কেপ অফ গুড হোপ এসপিসিএ (Society for the Prevention of Cruelty to Animals) পরে তাদের সামাজিক মাধ্যমে সীলটির সমুদ্রের দিকে ফিরে যাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সীলটি বালুকাময় সৈকত ধরে হেঁটে সাগরে প্রবেশ করছে। এই ঘটনার মাধ্যমে বন্যপ্রাণী এবং মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও একবার আলোচনায় এসেছে।
তথ্য সূত্র: Associated Press
