বিখ্যাত লেখিকা এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর এলি র্যালো, যিনি বইয়ের প্রতি ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে প্রায় ৫০০ বই রয়েছে এবং তিনি প্রায়শই নিজের পছন্দের ঘরানায় ডুব দিতে ভালোবাসেন।
শুধু লেখিকা হিসেবেই নয়, এলি ‘প্রোজ হোস’ নামে একটি সাহিত্য আসরেরও উদ্যোক্তা, যা আধুনিক যুগে সাহিত্যচর্চাকে নতুন রূপ দিয়েছে।
এলি র্যালো তার পাঠকদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ভালোবাসেন। তিনি জানান, একটি আরামদায়ক আসনে বসে হালকা আলো ও পছন্দের পানীয়ের সাথে বই পড়া তার প্রিয় অবসর।
সম্প্রতি তিনি লাভস্যাকের (LoveSac) সাথে যুক্ত হয়েছেন, যারা তাদের নতুন ‘পিলোস্যাক অ্যাকসেন্ট চেয়ার’-এর প্রচার করছে। এলি এই চেয়ারটিকে পাঠক-বান্ধব হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বই পড়ার জন্য আদর্শ।
এলি’র মতে, একটি সুন্দর পাঠাগার তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই বই সংগ্রহ করতে শুরু করেন এবং বর্তমানে তার সংগ্রহে প্রায় ৫০০ বই রয়েছে।
তিনি সবসময় বেছে বেছে বই পড়েন এবং জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখান। তিনি সাহিত্য বিষয়ক ক্লাসিক এবং নতুন লেখকদের কাজ উপভোগ করেন।
এলি’র ‘প্রোজ হোস’ একটি ব্যতিক্রমী সাহিত্য আসর। এখানে প্রতি মাসে একটি নতুন বই নির্বাচন করা হয় এবং সদস্যরা সেটি নিয়ে আলোচনা করেন।
এলি এই আলোচনাগুলোতে নেতৃত্ব দেন এবং প্রায়ই লেখকের সাথে সরাসরি কথা বলেন। তার মতে, এই ধরনের আলোচনা নতুন লেখকদের উৎসাহিত করে এবং পাঠকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
২০২৩ সালে এলি’র প্রবন্ধ সংকলন ‘আই ডিডন্ট নো আই নিডেড দিস’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া, তিনি তার নতুন বই ‘ডাজ এনিওয়ান এলস ফিল দিস ওয়ে?’ নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে তিনি ‘কোয়ার্টার-লাইফ ক্রাইসিস’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এলি জানান, তার বিশাল সংখ্যক অনুসারীর কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা এই বই লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একাকীত্ব এবং মানসিক কষ্টের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করা সম্ভব।
বর্তমানে, এলি র্যালোর কাজ এবং তার সাহিত্যচর্চা বিশ্বজুড়ে পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে, যা বাংলাদেশের সাহিত্যপ্রেমীদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন।