এлизаাবেথ টেলরের নাতনী, ৪২ বছর বয়সী এলাইজা কারসন সম্প্রতি তার বিখ্যাত দাদীর স্মৃতিচারণ করেছেন। হলিউডের এই কিংবদন্তী অভিনেত্রীর প্রয়াণের এক যুগ পরেও, তার স্মৃতি আজও অম্লান।
বিশেষ করে, টেলরের প্রিয় সুগন্ধী এবং পারিবারিক ঐতিহ্য আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে।
**রূপালি পর্দার তারকার সুগন্ধী এবং স্মৃতি**
এলাইজা জানান, তার দাদীর বাড়িটি সবসময় ‘হোয়াইট ডায়মন্ডস’ নামক সুগন্ধীতে ভরপুর থাকত।
শুধু তাই নয়, “প্রতিটি বাথরুমে অন্তত দুই-তিনটি সুগন্ধী সবসময় থাকত।”
এই সুগন্ধীগুলো যেন আজও তাকে সেই দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে এলাইজা বলেন, “বাড়ির ভারী কাঠের দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই, নরম সাদা কার্পেটের উপর সেই মিষ্টি গন্ধটা অনুভব করতাম।
এটা ছিল আমার দাদীর নিজস্বতা, যা আজও আমাকে সেই দিনগুলোর কথা মনে করায়।”
শুধু সুগন্ধীই নয়, ফুলের প্রতিও টেলরের ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
এলাইজা জানান, “আমার দাদীর বেডরুম এবং বাথরুমে সবসময় তাজা ফুল দিয়ে সাজানো থাকত।
এমনকি অফিসের বাইরে একটি সুন্দর লতানো গোলাপের গেট ছিল, যা গ্রিন হাউসের দিকে যেত।”
**পারিবারিক ঐতিহ্য এবং ভালোবাসার স্মৃতিচিহ্ন**
এলাইজা তার দাদীর দেওয়া একটি হীরার আংটি এবং একটি কারটিয়ার (Cartier) বালা এখনো পর্যন্ত আগলে রেখেছেন।
এইগুলো তাদের পারিবারিক ভালোবাসার প্রতীক।
বিয়ের দিনে এলাইজা ‘গার্ডেনিয়া’ সুগন্ধী ব্যবহার করেছিলেন।
এলাইজা আরও জানান, তিনি এখনো ‘হোয়াইট ডায়মন্ডস’ এবং ‘প্যাশন’ সুগন্ধী ব্যবহার করেন।
এমনকি কঠিন পরিস্থিতিতে, যেমন গুরুত্বপূর্ণ মামলার সময়, তিনি আত্মবিশ্বাসের জন্য এই সুগন্ধী ব্যবহার করতেন।
একবার তিনি যখন এই সুগন্ধী ব্যবহার করা এক তরুণীর সাথে পরিচিত হন, তখন তাদের মধ্যে দাদীর স্মৃতি নিয়ে আবেগপূর্ণ আলোচনা হয়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, টেলরের স্মৃতি আজও অনেকের কাছে কতটা মূল্যবান।
এলাইজা কারসন তার দাদীর কাছ থেকে পাওয়া এই স্মৃতিচিহ্নগুলো সবসময় নিজের কাছে রাখতে ভালোবাসেন, যা তাকে তার দাদীর কাছাকাছি অনুভব করতে সাহায্য করে।
তথ্য সূত্র: পিপল