টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আগামী পাঁচ বছর বহাল থাকার অঙ্গীকার করেছেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানান।
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে সুপরিচিত মাস্কের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন তার কোম্পানি, টেসলা, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে শেয়ারের দামের ওঠা-নামা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার কাজের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা চলছে।
ফোরামের আলোচনায় মাস্ককে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, তিনি আগামী পাঁচ বছরও টেসলার প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিনা। উত্তরে তিনি দ্বিধাহীনভাবে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
এর পরে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যদি মারা না যাই, তাহলে তো অবশ্যই থাকব’।
টেসলার কর্মীরা যখন ট্রাম্প সরকারের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামক প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় তাদের। মাস্কের এই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি নীরবতা ভেঙে বলেন, ‘আমি যা করার দরকার ছিল, তাই করেছি।’
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল মাস্কের বেতন প্যাকেজ নিয়ে বিতর্ক। জানা যায়, ডেলাওয়্যারের একজন বিচারক তার ৫৬ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকার সমান) বেতন প্যাকেজ আটকে দিয়েছেন।
মাস্ক এই বিচারককে ‘ভণ্ড’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণে তার যথেষ্ট অধিকার থাকা দরকার, বিশেষ করে যখন তারা কোটি কোটি হিউম্যানয়েড রোবট তৈরির পরিকল্পনা করছেন।
ইলন মাস্কের এই ঘোষণা একদিকে যেমন টেসলার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা যোগাবে, তেমনি প্রযুক্তি বিশ্বে তার প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাস্কের এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো বিশ্ব অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি বাজারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস