যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মধ্যেকার সম্পর্ক এখন আলোচনার বিষয়। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে তাদের একসঙ্গে ঘন ঘন দেখা যাওয়ার দিনগুলো সম্ভবত শেষ হয়ে এসেছে। এমনটাই বলছেন সেখানকার লোকজনেরা।
গত গ্রীষ্মে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের পর মাস্ককে প্রায়ই ট্রাম্পের সঙ্গে মার-এ-লাগোতে দেখা যেত। এমনকি নির্বাচনের সময়ও তিনি সেখানে ছিলেন। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এরপর মাস্ককে খুব কমই মার-এ-লাগোতে দেখা গেছে।
মার-এ-লাগো ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে পাম বিচ কাউন্টি রিপাবলিকানদের একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও মাস্ক একসঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প ছিলেন প্রধান বক্তা এবং মাস্ককে তার কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এরপর থেকে তাদের আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। ক্লাবটি ১২ই মে বন্ধ হয়ে যায় এবং এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি প্রকাশ্যে আসে।
মে মাসের ৩০ তারিখে মাস্ক যখন সরকারের কর্মদক্ষতা বিষয়ক বিভাগ (Department of Government Efficiency – DOGE) থেকে পদত্যাগ করেন, তখন তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও খারাপ হতে শুরু করে। এরপর মাস্ক তার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (X) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। তিনি ট্রাম্পের একটি বিলকে ‘ঘৃণ্য’ বলেও উল্লেখ করেন এবং নির্বাচনে তার জয়ের কৃতিত্ব দাবি করেন। এমনকি, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কিছু গোপন নথি লুকিয়ে রাখারও অভিযোগ করেন মাস্ক। যদিও পরে তিনি তার কিছু পোস্ট মুছে ফেলেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্পও মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন। জুন মাসের ১২ তারিখে ক্যালিফোর্নিয়ার বৈদ্যুতিক গাড়ির (electric vehicle) একটি নির্দেশিকা বাতিলের সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি অবাক হয়েছিলেন যে মাস্ক কেন তার প্রচারণার শুরুতে এই বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দেননি। তিনি আরও বলেন, মাস্কের এমন আচরণে তিনি “আশ্চর্য” হয়েছিলেন।
এই ঘটনাগুলো ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যেকার সম্পর্ককে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল
