এলোন মাস্ক: বিতর্কিত ভূমিকায়, তোলপাড় বিশ্বে!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে গঠিত একটি বিভাগে মাস্কের কাজের বিষয়টি সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

তবে তার এই সরকারি দায়িত্ব পালন নিয়ে উঠেছে বেশ কিছু প্রশ্ন, বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে।

জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা সরকারি কার্যকারিতা বিভাগে কাজ করেছেন মাস্ক।

যদিও মাস্ক দাবি করেছেন, তিনি সরকারের ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার সাশ্রয় করেছেন, তবে এই হিসাব এখনো যাচাই করা যায়নি।

মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি চান এই বিভাগের ধারণা যেন ‘বৌদ্ধধর্মের মতো একটি জীবনযাত্রায়’ পরিণত হয়।

কিন্তু তার এই ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালন নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

মাস্কের কোম্পানিগুলো সরকারি বিভিন্ন চুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

এছাড়া, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে, মাস্কের সরকারি পদে থাকাটা স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

কারণ, তার এই অবস্থানের কারণে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, মাস্কের কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে, যা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারে।

বিষয়টি আরও উদ্বেগের কারণ হলো, মাস্কের নৈতিকতা বিষয়ক ঘোষণাগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এছাড়া, তিনি তার ব্যবসায়িক স্বার্থ থেকে নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করেননি।

যদিও তিনি বলেছেন, মে মাস থেকে তিনি এই পদে নিয়মিত কাজ করা কমিয়ে দেবেন, তবে হোয়াইট হাউসে তার একটি কার্যালয় থাকবে।

এই পরিস্থিতিতে, মাস্কের সরকারি ভূমিকা নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব এবং সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটরা ধারণা করছেন, এই সময়ে মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় প্রভাবিত হতে পারে।

যদিও এর পরিমাণ কত, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সরাসরি অংশগ্রহণের ফলে স্বচ্ছতার অভাব দেখা দিতে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এছাড়া, এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *