মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে আবারও ধাক্কা খেলেন এলন মাস্ক। সম্প্রতি স্পেসএক্সের স্টারশিপের একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৭শে মে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে স্টারশিপের নবম ফ্লাইট টেস্টটি হয়। যদিও উৎক্ষেপণ সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছিল, কিন্তু এরপরই বিপত্তি ঘটে।
জানা গেছে, উৎক্ষেপণের পর সম্ভবত জ্বালানি লিকের কারণে স্টারশিপের উচ্চতা কমতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এটি ঘুরতে শুরু করে এবং বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময় স্টারশিপটি ভেঙে যায়।
ধ্বংসাবশেষ গিয়ে পরে ভারত মহাসাগরে।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্লাইট টেস্টটি অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয়েছে। আমাদের দলগুলি ডেটা পর্যালোচনা করবে এবং পরবর্তী পরীক্ষার জন্য কাজ করবে। এই ধরনের পরীক্ষায় আমরা যা শিখি, সেটাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আজকের পরীক্ষাটি স্টারশিপের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
আমরা জীবনকে বহু গ্রহে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
উল্লেখ্য, এর আগে স্টারশিপের অষ্টম ফ্লাইট টেস্টও অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয়েছিল, যেখানে উৎক্ষেপণের পরপরই রকেট বিস্ফোরিত হয়েছিল। এমনকি জানুয়ারিতে হওয়া সপ্তম ফ্লাইটও একই পরিণতি বরণ করে।
এবারের ব্যর্থতা এলন মাস্কের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। তিনি ২০২৬ সালের মধ্যে মানুষকে মঙ্গলে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন।
যদিও শুরুতে তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের আশা করেছিলেন, তবে তা সম্ভব হয়নি।
স্পেসএক্সের প্রকৌশলীরা এখন ডেটা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পরীক্ষার এই ধরনের ফলাফলের পরেও, স্পেসএক্সের কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই পরীক্ষাগুলি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে তারা দ্রুত নতুন কিছু শিখতে পারে এবং স্টারশিপের নকশার পরিবর্তন করতে পারে।
এই পরীক্ষার আগে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) স্পেসএক্সের নবম ফ্লাইট পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। পরীক্ষায় নাসা, ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড সেফটি বোর্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বাহিনীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য সূত্র: পিপল