মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং স্পেস-এক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মাস্ক জানান, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা দেশের বাজেট ঘাটতি আরও বাড়াবে এবং এর ফলে ‘ডগ’ (DOGE) টিমের কাজ ব্যাহত হবে।
মাস্কের মতে, বিশাল অংকের এই ব্যয়ের বিল একদিকে যেমন বড়, তেমনই সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়। ট্রাম্পের এই ‘বড়, সুন্দর বিল’-এ রয়েছে বিশাল অঙ্কের কর ছাড়ের প্রস্তাব, সামরিক খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ এবং স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা।
ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি আরও ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে। গত সপ্তাহে বিলটি হাউসে পাস হয়েছে এবং এখন সিনেটে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে এতে আরও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
এই বিল নিয়ে উদ্বেগের কারণ হিসেবে মাস্ক উল্লেখ করেছেন, এর ফলে বাজেট ঘাটতি বাড়বে, যা সরকারের কর্মদক্ষতা বিভাগ (Department of Government Efficiency বা DOGE) -এর কাজকে দুর্বল করবে। উল্লেখ্য, এই বিভাগটি সম্ভবত সরকারি কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে।
মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি এখন তার কোম্পানিগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে চান। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আগের চেয়ে কম সময় দেবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অর্থ খরচ করার বিষয়ে মাস্ক ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হবেন বলে জানিয়েছেন। তবে, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোতে তিনি যে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে, গত নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান কংগ্রেসের প্রার্থীদের জেতাতে মাস্ক প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন। এছাড়াও, উইসকনসিন সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্বাচনে মাস্কের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থী হেরে যাওয়ার পেছনেও তার দল প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে।
অন্যদিকে, মাস্ক ‘ডগ’ টিমের কাজেরও পক্ষ সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, এই টিমকে প্রায়ই বিভিন্ন ঘটনার জন্য দোষারোপ করা হয়, যদিও তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে না।
সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, মাস্কের এই রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে সরে আসার পরেও ‘ডগ’ টিম তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় তাদের কর্মীরা বহাল থাকবেন এবং আগামী কয়েক মাস বা বছর ধরে তারা কাজ করবেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন