১ মিলিয়ন ডলার! ভোটারদের হাতে মাস্কের চেক, তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের একটি বিচার বিভাগীয় নির্বাচনের প্রচারণা বর্তমানে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে রক্ষণশীল প্রার্থী ব্র্যাড শিমেলকে সমর্থন জানাতে তিনি উইসকনসিনের দুইজন ভোটারের হাতে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেক তুলে দিয়েছেন।

এই নির্বাচনটি শুধু উইসকনসিনের বিচার বিভাগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির একটি প্রাথমিক পরীক্ষারূপেও দেখা হচ্ছে। বর্তমানে আদালতটিতে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়, যেমন গর্ভপাতের অধিকার, শ্রমিক অধিকার, ভোট দেওয়ার নিয়ম এবং কংগ্রেসনাল জেলার সীমানা পুনর্বিন্যাস। এই বিষয়গুলো ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এলন মাস্ক এর আগে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাটরা এই অর্থ দেওয়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের মতে এটি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। উইসকনসিনের অ্যাটর্নি জেনারেল জশ কল এই বিষয়ে মাস্কের পদক্ষেপকে রাজ্যের আইন লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

এলন মাস্ক তাঁর বক্তব্যে এই নির্বাচনকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, এই ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস-এর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে।

এছাড়াও, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ডেমোক্র্যাটরা জিতলে রাজ্যের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কারসাজি করতে পারে। মাস্ক ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর সমর্থকদের মধ্যে যারা ভোটার সংগ্রহ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ২০ ডলার করে দেবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এলন মাস্কের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থায় ধনী ব্যক্তিদের প্রভাব বিস্তারের একটি উদাহরণ। এটি গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে, কারণ এর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই ঘটনা নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *