এমা রাদুুকানুর প্রত্যাবর্তন: মায়ামিতে বাজিমাত!

এমা রাডুকানুর প্রত্যাবর্তন: মায়ামি ওপেনে ঝলকানি

টেনিস বিশ্বে যারা নিজেদের প্রতিভা দিয়ে পরিচিতি লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন এমা রাডুকানু। অল্প বয়সেই খ্যাতি অর্জন করা এই ব্রিটিশ টেনিস তারকা সম্প্রতি মায়ামি ওপেনে দারুণ পারফর্ম করে আবারো আলোচনায় এসেছেন।

টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় জেসিকা পেগুলার।

রাডুকানুর বর্তমান বয়স মাত্র ২২ বছর। ২০২১ সালে ইউএস ওপেন জিতে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

এরপর ইনজুরি এবং ফর্মের অভাবে কিছুটা ছন্দপতন হলেও, তিনি আবার ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মায়ামি ওপেনে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সেই সম্ভাবনারই প্রমাণ।

অন্যদিকে, জেসিকা পেগুলা টেনিস বিশ্বে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। তার উত্থানটা অবশ্য রাডুকানুর মতো এতটা দ্রুত ছিল না।

কঠোর পরিশ্রম এবং ধারাবাহিকতার মাধ্যমে তিনি শীর্ষ খেলোয়াড়দের কাতারে এসেছেন। পেগুলার বাবা-মা’র রয়েছে বিশাল সম্পদ। তারা বিভিন্ন ক্রীড়া ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। তবে, পেগুলার সাফল্যের পেছনে ছিল তার নিজস্ব চেষ্টা ও অধ্যবসায়।

মায়ামি ওপেনে রাডুকানুর যাত্রাটা সহজ ছিল না। প্রথম দিকে তিনি বেশ কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। তবে, কঠিন প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি লড়াকু মানসিকতার অধিকারী।

বিশেষ করে, এমা নাভারোকে হারানোর পর তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে।

রাডুকানুর খেলা এবং পেগুলার খেলার মধ্যে কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুজনেই শক্তিশালী ব্যাকহ্যান্ড এবং টাইমিংয়ের দিক থেকে বেশ ভালো। তবে, ধারাবাহিকতার দিক থেকে পেগুলা অনেক এগিয়ে।

এবারের মায়ামি ওপেনে রাডুকানু তার নতুন ফিটনেস কোচ ইউটাকা নাকামুরার তত্ত্বাবধানে নিজেকে আরও শক্তিশালী করেছেন। তার খেলার ধরনেও এসেছে পরিবর্তন।

বিশেষ করে, তার সার্ভিসের উন্নতি হয়েছে, যা তাকে প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করছে।

এই মুহূর্তে, রাডুকানুর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পেগুলার বিপক্ষে জয় পাওয়া। কারণ, পেগুলা ফাস্ট কন্ডিশনে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

তবে, রাডুকানু যদি তার আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যেতে পারেন এবং খেলার গতি ও ধরনে পরিবর্তন আনতে পারেন, তাহলে তিনি অবশ্যই ভালো ফল করতে পারবেন।

টেনিস খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো খেলোয়াড়ই তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। রাডুকানুর ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটছে।

তিনি প্রমাণ করেছেন, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কিভাবে সাফল্যের পথে ফিরতে হয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *