ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দল আবারও ইউরোপ সেরা, স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর শিরোপা জয়।
ফুটবল বিশ্বে আবারও ইংল্যান্ডের জয়জয়কার। স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী ইউরো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেনের কাছে হারের প্রতিশোধ যেনো এবার পূরণ করলো তারা।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
এই জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ক্লোয়ি কেলি। ২০২২ সালের ইউরোতেও জয়সূচক গোলটি করেছিলেন তিনি। ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধেও তিনিই ছিলেন দলের ত্রাতা।
এছাড়া, ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যালেসিয়া রুসো। অন্যদিকে, স্পেনের হয়ে গোলটি করেন মারিওনা ক্যালডেন্টেই।
ইংল্যান্ড দলের এই জয়ে আরও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের অবদান অনস্বীকার্য। লুসি ব্রোঞ্জ, যিনি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই পায়ের ভাঙা হাড় নিয়ে খেলেছেন, দলের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।
গোলরক্ষক হানাহ হ্যাম্পটন সেমিফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে এবং ফাইনালে দুটি পেনাল্টি সেভ করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া মিশেল অ্যাজিম্যাঙ্গও কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
ম্যাচের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের জন্য। খেলার প্রথমার্ধে মারিওনা ক্যালডেন্টেইয়ের গোলে স্পেন এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেসিয়া রুসোর গোলে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে হ্যাম্পটনের দৃঢ়তা এবং কেলির জয়সূচক গোলে হাসি ফোটে ইংল্যান্ড শিবিরে।
ইংল্যান্ডের এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারও। রাজা তৃতীয় চার্লস এক বার্তায় দলের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রীও সামাজিক মাধ্যমে দলের খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানান।
ইংল্যান্ডের এই জয় নারী ফুটবলে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ। এটি কেবল একটি দলের জয় নয়, বরং তাদের অদম্য মানসিকতা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন