শিরোনাম: ইংল্যান্ডের খেলায় ‘সঞ্চালকের’ অভাব, বেহাল বেলিংহ্যাম
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ড ৩-০ গোলে জয় পেলেও দলের খেলা নিয়ে এখনো চিন্তিত কোচ। দলের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করতে মাঝমাঠের ‘সঞ্চালক’ খুঁজছেন তিনি, যিনি খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং আক্রমণভাগে বল সরবরাহ করতে সহায়ক হবেন।
অন্যদিকে, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যামের খেলায় মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে ছন্দপতন। অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি হতাশ হচ্ছেন, যা দলের জন্য উদ্বেগের কারণ।
ইংল্যান্ডের কোচ থমাস টুখেল স্পষ্টতই দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করছেন। তিনি চান, খেলোয়াড়রা যেন তাদের আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখে এবং প্রতিপক্ষের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে।
তবে, এই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল লাটভিয়া। তাই, বড় জয়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল কিভাবে জয়টি এসেছে, সেই দিকে নজর রাখা।
ম্যাচে ফিল ফোডেনকে ৬৭ মিনিটে মাঠে নামানোর পর খেলার ধরনে পরিবর্তন আসে। ফোডেন মাঝমাঠে আসার পর দলের আক্রমণ আরও ধারালো হয়।
দ্রুতগতির আক্রমণ এবং তীক্ষ্ণ পাসের মাধ্যমে ইংল্যান্ড গোলের সুযোগ তৈরি করতে থাকে। হ্যারি কেইন, মার্কাস রাশফোর্ড এবং ইবেরেচি এজেকে কেন্দ্র করে আক্রমণগুলো আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কিন্তু বেলিংহ্যামের খেলা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। মাঝেমধ্যে তিনি অতিরিক্ত বল পায়ে রাখছেন এবং প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।
এতে করে খেলার গতি কমে যাচ্ছে এবং সুযোগ তৈরি হতেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, যা তার হতাশার কারণ।
কোচ টুখেল খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলগত পারফরম্যান্সের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। তিনি চান, সেরা খেলোয়াড় বাছাই করার পরিবর্তে সেরা দল গঠন করতে।
ফরোয়ার্ড লাইনে গতির জন্য তিনি উইংগারদের উপর আস্থা রাখছেন। তবে, মাঝমাঠের ‘সঞ্চালক’-এর অভাব এখনো পূরণ হয়নি।
অতীতে, ইউরো ২০২৪-এর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে টুখেল তার কৌশল পরিবর্তন করেছেন। তিনি মাঝমাঠে একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় চাচ্ছেন, যিনি দ্রুত পাস দিতে এবং আক্রমণভাগে বল সরবরাহ করতে পারদর্শী হবেন।
দলের খেলাকে আরও গতিশীল করতে এই ধরনের খেলোয়াড়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তরুণ খেলোয়াড় অ্যাডাম হোয়ার্টন-এর দিকেও তিনি নজর রাখছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান