রাগবিতে টিকে গেলেন সুয়েনি: কিন্তু ইংল্যান্ডের যুদ্ধ কি তবে শেষ?

শিরোনাম: বিল সুইনি টিকে গেলেও ইংলিশ রাগবিতে ফাটল, ভবিষ্যৎ কি অনিশ্চিত?

ইংল্যান্ডের রাগবি ফুটবল ইউনিয়ন (RFU) প্রধান নির্বাহী বিল সুইনির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব কোনোমতে পাশ হলেও, দেশটির রাগবি অঙ্গনে অস্থিরতা এখনো কাটেনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে সুইনি পদ ধরে রাখতে সক্ষম হলেও, খেলাটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় গভীর বিভেদ এবং আস্থার সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মূলত, ক্লাবগুলোর মধ্যে আর্থিক বৈষম্য, ইলিং ট্রেইলফাইন্ডার্সকে প্রিমিয়ারশিপে অন্তর্ভুক্ত না করা এবং শীর্ষ পর্যায়ে ‘ক্লোজড শপ’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কাই এই বিতর্কের মূল কারণ।

এমন পরিস্থিতিতে ঐক্যের ডাক দেওয়া হলেও, মাঠের বাইরের এই লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।

ভোটাভুটিতে সুইনির পক্ষে ভোট পড়ে ২০৬টি, বিপক্ষে ছিল ৪৬৬টি।

প্রায় অর্ধেক সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ফল একদিকে যেমন সুইনির টিকে থাকার প্রমাণ, তেমনই রাগবি ইউনিয়নের দুর্বলতাও প্রকাশ করে।

আসলে, এই মুহূর্তে ইংলিশ রাগবির দুটি ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, অনেক ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিত্বকারীদের মধ্যে গুরুতর মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের মধ্যে সংযোগের অভাব রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রিমিয়ারশিপ ক্লাবগুলো বছরে ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার বেশি) আর্থিক সুবিধা পেলেও, দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাবগুলোর জন্য বরাদ্দ ক্রমাগত কমানো হচ্ছে।

ইলিং ট্রেইলফাইন্ডার্সকে প্রিমিয়ার লিগে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অনেকে বলছেন, ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করতে না পারার যে কারণ দেখানো হয়েছে, তা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এছাড়াও, ইলিংয়ের মালিক মাইক গুরীর প্রিমিয়ার লিগে প্রবেশ করতে আরও প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি) দিতে হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে নিউক্যাসলও যদি প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারে, তবে আর্থিক সংকটের মধ্যেও তারা শীর্ষ পর্যায়ে টিকে থাকতে পারবে।

অনেকেই মনে করেন, প্রিমিয়ারশিপ এবং চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে দলবদলের ধারণাটিকে RFU কার্যত গুরুত্ব দিচ্ছে না।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্তরের একটি নতুন প্রতিযোগিতা তৈরির চেষ্টা চলছে, যেখানে সবার স্বার্থ রক্ষার কথা বলা হয়েছে।

এই বোর্ডের প্রধান মাইক ম্যাকটিঘি বলছেন, “আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পেশাদার খেলা চাই।

আমাদের লক্ষ্য এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা, যা ক্লাবগুলোকে উন্নতি করতে এবং প্রিমিয়ার লিগের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।”

তবে, বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে RFU কি পরিবর্তন আনতে পারবে?

নাকি আবারও পুরনো বিতর্ক ফিরে আসবে?

কারণ, মাঠের বাইরের এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে, ইংলিশ রাগবির ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *