এশিয়ার সেরা সমুদ্র সৈকত নির্বাচিত হয়েছে ফিলিপাইনের পালাওয়ানের এন্টালুলা বিচ। বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ বিষয়ক একটি সংস্থা ‘World’s 50 Best Beaches’-এর বিচারে এই সৈকতটি শুধু এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ নয়, বিশ্বসেরা সৈকতগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানও অধিকার করেছে।
বাংলাদেশের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এই খবর নিঃসন্দেহে আনন্দের। কারণ, প্রকৃতির এক অসাধারণ লীলাভূমি হলো পালাওয়ানের এন্টালুলা বিচ, যেখানে রয়েছে সাদা বালুকাময় সৈকত, স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর বিশাল চুনাপাথরের পাহাড়।
ফিলিপাইন ৭,৬৪১টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। এই দ্বীপপুঞ্জ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন ধরণের প্রবাল প্রাচীরের জন্য সারা বিশ্বে সুপরিচিত।
এন্টালুলা বিচ পালাওয়ানের এল নিডো অঞ্চলের একটি অংশ। এখানকার সাদা বালু আর স্বচ্ছ নীল জল পর্যটকদের মন জয় করে নেয় সহজেই।
চারপাশের সবুজ গাছপালা আর বিশাল পাথুরে পাহাড় এই স্থানটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যারা শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এন্টালুলা বিচ একটি আদর্শ স্থান।
এখানে আসা পর্যটকদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের সুযোগ। স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটার পাশাপাশি তারা উপভোগ করতে পারেন স্কুবা ডাইভিংয়ের মতো অভিজ্ঞতা।
সমুদ্রের নিচে এখানকার প্রবাল প্রাচীর ও লাইমস্টোনের দেয়াল ডুবুরিদের জন্য এক অসাধারণ জগৎ উন্মোচন করে। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, তিমি, ডলফিন এবং কচ্ছপের আনাগোনাও এখানে দেখা যায়।
এছাড়াও, কায়াকিং বা প্যাডেল বোর্ডে চড়ে লুকানো উপসাগরগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ তো রয়েছেই।
এন্টালুলা বিচে যেতে হলে সাধারণত নৌকার সাহায্য নিতে হয়। এল নিডো থেকে নৌকায় করে এখানে পৌঁছাতে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে।
চারপাশে ছোট ছোট দ্বীপ থাকায় এই সমুদ্রযাত্রাটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। এখানকার নির্জনতা ও শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকারীদের প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে সাহায্য করে।
দিনের আলোয় সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার পর, সূর্যাস্তের দৃশ্যও মন মুগ্ধ করে তোলে।
পালাওয়ানের বাইরেও, ফিলিপাইন তার কোলাহলপূর্ণ শহর, মুখরোচক খাবার এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য পরিচিত।
ক্যালুইট দ্বীপে ডুগং-এর সঙ্গে সাঁতার কাটা অথবা বোহোলের চকলেট হিলসে হাইকিংয়ের মতো অভিজ্ঞতা এখানে ভ্রমণকারীদের জন্য অপেক্ষা করে।
সব মিলিয়ে, এন্টালুলা বিচ এবং পুরো ফিলিপাইন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্য হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার