হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা এরিক ডেইন, যিনি “গ্রে’স অ্যানাটমি” (Grey’s Anatomy) -র মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন, সম্প্রতি এক কঠিন রোগের সঙ্গে লড়ছেন।
তিনি এ্যামীওট্রোফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic Lateral Sclerosis), যা সাধারণত ‘এএলএস’ (ALS) বা ‘লু গেহরিগস ডিজিজ’ (Lou Gehrig’s disease) নামে পরিচিত, এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগটি স্নায়ুরোগের একটি বিরল রূপ, যা ধীরে ধীরে শরীরের মাংসপেশীকে দুর্বল করে দেয় এবং এর ফলে চলাফেরা ও শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয়।
৫২ বছর বয়সী এই অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি এই রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এই লড়াই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ পারি।” তিনি আরও যোগ করেন, “কাজ আমাকে সজাগ রাখে। এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, যা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
এরিক ডেইনের রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি এপ্রিল মাসে প্রথম জানা যায়। এরপর তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, রোগের কারণে তিনি তার ডান হাত নাড়াচাড়া করতে পারছেন না।
এমনকি, তার বাঁ হাতের কর্মক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমছে। তিনি বলেন, “আমার একটি হাত এখনো কাজ করছে। আমার বাম দিকটা এখনো সক্রিয়, কিন্তু ডান দিক সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।”
তিনি আরও উদ্বেগের সঙ্গে জানান, “আমি আমার পায়ের বিষয়েও চিন্তিত।”
এএলএস-এর কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে কথা বলা, খাবার খাওয়া এবং হাঁটাচলার ক্ষমতা কমে যায়।
এমনকি শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের কোনো নিরাময় নেই এবং সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পর মানুষ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
তবে, এরিক ডেইন এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও হতাশ হননি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন।
বর্তমানে তিনি “ইউফোরিয়া” (Euphoria) নামক একটি সিরিজের তৃতীয় সিজনের শুটিং করছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না, এটাই আমার গল্পের শেষ। আমার মনে হয় না, এটাই আমার সমাপ্তি।”
এরিক ডেইনের এই মনোবল সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি প্রমাণ করেছেন, কঠিন পরিস্থিতিকেও জয় করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: পিপল