বিপদ! মাশরুম-খুনের বিচারে এরিন প্যাটারসনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ!

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি আদালতে এক চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এরিন প্যাটারসন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং এক আত্মীয়কে মারাত্মক বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

২০১৯ সালের এক মধ্যাহ্নভোজে পরিবেশিত গরুর মাংসের একটি বিশেষ পদে (বিফ ওয়েলিংটন) এই মাশরুম মিশিয়েছিলেন তিনি।

আদালতে উপস্থাপিত তথ্যানুসারে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এরিন প্যাটারসনের শ্বশুর-শাশুড়ি ডন ও গেইল প্যাটারসন এবং তাঁর স্বামীর (বর্তমানে আলাদা হয়ে গেছেন) ফুফু হেদার উইলকিনসন। এছাড়া, হেদারের স্বামী ও এরিনের স্বামীর মামা ইয়ান উইলকিনসন গুরুতর অসুস্থ হলেও সৌভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

প্রথমে এরিন প্যাটারসনের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন স্বামী সাইমন প্যাটারসনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও, সেটি পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এই মামলার শুনানির শুরুতে, বিচারক ক্রিস্টোফার বিয়েল আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, জুরিদের উদ্দেশ্যে এই মামলার রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম থেকে পাওয়া কোনো তথ্যের ওপর নির্ভর না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারক পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন, মামলার রায় দিতে হবে শুধুমাত্র আদালতে পেশ করা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে।

এই মামলার শুনানিতে প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য পেশ করার কথা রয়েছে। শুনানির শুরুতে সরকারি কৌঁসুলি নানতে রজার্স এবং অভিযুক্ত এরিন প্যাটারসনের আইনজীবী কলিন ম্যান্ডি তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন।

১৫ জন সদস্যের একটি জুরি দল এই মামলার রায় দেবেন। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী, এই মামলার রায় দিতে হলে জুরিদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন হবে।

বিচারক জুরিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই মামলার বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা বা মিডিয়ার খবর দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কারণ, মামলার রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনো মতামত বা অনুভূতির পরিবর্তে, কেবল সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অভিযুক্ত এরিন প্যাটারসন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই মামলার রায় এখন আদালতের ওপর নির্ভরশীল।

পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি ভিক্টোরিয়ার মorwell-এ সুপ্রিম কোর্টে চলছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *