নির্মম! এসেক্সের কোটিপতি হত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ড: কীভাবে ঘটল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা?

ব্রিটিশ অনুসন্ধানী টেলিভিশন: এক ধনী দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু

গত বছর, ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টিতে এক ধনী দম্পতির মৃত্যু হয়। তাদের নাম ছিল ক্যারল এবং স্টিফেন ব্যাক্সটার।

তাদের মৃত্যুরহস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি নতুন ব্রিটিশ অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র, যার নাম ‘দ্য এসেক্স মিলিয়নেয়ার মার্ডারস’। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এই তথ্যচিত্রটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে।

প্রাথমিকভাবে, ব্যাক্সটার দম্পতির মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই মনে করা হয়েছিল। তাদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, এমনকি তাদের বাড়িতে জোর করে প্রবেশের কোনো প্রমাণও মেলেনি।

ক্যারল দীর্ঘদিন ধরে হাশিমোটো রোগে ভুগছিলেন, যা একটি অটোইমিউন রোগ। তার স্বামী স্টিফেন ছিলেন তার তত্ত্বাবধায়ক। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যাক্সটার দম্পতির মৃত্যুরহস্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শদাতা লুক ডি’উইট।

তথ্যচিত্রটিতে তদন্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। ব্যাক্সটার দম্পতির বাড়িতে পাওয়া যায় কিছু ভিডিও ফুটেজ, যা তাদের জীবনযাত্রা এবং মৃত্যুর আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়।

ক্যারলের অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিষয়েও তথ্যচিত্রটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।

তদন্তে জানা যায়, ব্যাক্সটার দম্পতির মৃত্যুর কারণ ছিল অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ, যার মধ্যে ছিল ফেন্টানাইল। এই ঘটনায় ক্যারলের মেয়ে এলেনা এবং লুক ডি’উইটকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যদিও পরে এলেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে ডি’উইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়।

তথ্যচিত্রটি মূলত ডি’উইটের কর্মকাণ্ডের উপর আলোকপাত করে। কিভাবে তিনি ব্যাক্সটার পরিবারের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন এবং তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিলেন, সে বিষয়গুলো এতে তুলে ধরা হয়েছে।

ডি’উইট কিভাবে তাদের প্রভাবিত করেছিলেন, এমনকি তাদের সম্পত্তির লোভে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়টিও সন্দেহের তালিকায় ছিল।

অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটির নির্মাতারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন। ঘটনার ভয়াবহতা দর্শকদের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তারা কোনো রকম বাড়াবাড়ি করেননি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *