ইউরোপ ভ্রমণে আগ্রহী বাঙালিদের জন্য আকর্ষণীয় এক সুযোগ নিয়ে এসেছে অ্যাবারক্রোমবি অ্যান্ড কেন্ট। তারা রাইন নদীর বুকে ৮ দিনের এক বিলাসবহুল নৌ-ভ্রমণের আয়োজন করেছে, যেখানে শীতের উৎসবের মরসুমে জার্মানি ও ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে ক্রিসমাস মার্কেটের আনন্দ উপভোগ করা যাবে।
খবরটি ভ্রমণ ও সংস্কৃতি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এই ভ্রমণ চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই সময়ে ভ্রমণকারীরা ফ্রান্সের স্ট্র্যাসবুর্গ থেকে যাত্রা শুরু করে জার্মানির ফ্রাইবুর্গ, হাইডেলবার্গ, রুদেসহাইম, কোবলেনজ, বন এবং কোলোন শহরে ঘুরে বেড়াবেন। প্রতিটি শহরেই রয়েছে ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং উৎসবের আমেজ।
ভ্রমণটি শুরু হবে ফ্রান্সের ‘ক্রিসমাসের রাজধানী’ খ্যাত স্ট্র্যাসবুর্গ থেকে। এখানে ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন এবং জনপ্রিয় ক্রিসমাস মার্কেট-এ (বড়দিনের মেলা) পর্যটকেরা ভিড় জমাবেন।
এরপর তারা স্থানীয় ওয়াইন সেলার-এ (Cave des Hospices) যাবেন, যেখানে তারা স্থানীয় ওয়াইন চেখে দেখতে পারবেন।
জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলের ফ্রাইবুর্গে গেলে পর্যটকেরা হস্তনির্মিত অলঙ্কার, ঐতিহ্যবাহী নাটক্র্যাকার এবং বিভিন্ন স্বাদের খাবার ও পানীয়ের স্বাদ নিতে পারবেন।
এখানকার বাজারে পাওয়া যায় সুস্বাদু ব্রাটwurst (জার্মান সসেজ), রোস্ট করা বাদাম এবং গরম মশলাযুক্ত ওয়াইন।
হাইডেলবার্গে ঐতিহাসিক দুর্গের ধ্বংসাবশেষের পাশে তৈরি হওয়া ক্রিসমাস মার্কেটের আকর্ষণও কম নয়।
পর্যটকদের জন্য এখানে ককটেল পার্টি ও বিশেষ ভোজন-সভার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রুদেসহাইমে, ভ্রমণকারীরা ড্রোসেলগ্যাসের আকর্ষণীয় দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন এবং কোবলেনজের মধ্যযুগীয় শহরে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।
ভ্রমণে যুক্ত হওয়া যাত্রীরা জার্মানির বন শহরে বিখ্যাত সুরকার লুডভিগ ভ্যান বীঠোফেনের জন্মস্থানও পরিদর্শন করতে পারবেন।
বোনের বিঠোভেন-হাউস মিউজিয়ামে (Beethoven-Haus Museum) এই কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে।
ভ্রমণের শেষ গন্তব্য কোলোন।
এখানে জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল এবং আকর্ষণীয় ক্রিসমাস মার্কেট রয়েছে।
কোলোন ক্যাথেড্রাল ঘুরে দেখার পর পর্যটকেরা উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন এবং ঐতিহ্যবাহী ‘লেবকুচেন’ (এক ধরনের জিঞ্জারব্রেড) চেখে দেখতে পারবেন।
এই আকর্ষণীয় ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি ৭,৯৯৫ মার্কিন ডলার থেকে শুরু।
ভ্রমণের আগে ও পরে এক রাতের জন্য হোটেলে থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে।
অত্যাধুনিক ‘অ্যামাডিয়াস স্টার’ জাহাজে চড়ে ভ্রমণকারীরা বিলাসবহুল পরিবেশে, উন্নত মানের খাবার ও অভিজ্ঞ গাইডদের তত্ত্বাবধানে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন।
এই ভ্রমণের মাধ্যমে বাঙালিরা ইউরোপের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
যারা ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভ্রমণের স্বাদ নিতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার
