ইউরোপে ম্যারাথন দৌড়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, শীর্ষ গন্তব্য ও দৌড়ানোর প্রবণতা।
বিশ্বজুড়ে ফিটনেস সচেতন মানুষের মধ্যে ম্যারাথন দৌড়ের আগ্রহ বাড়ছে, বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে এই দৌড় প্রতিযোগিতাগুলো এখন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপে ম্যারাথন দৌড়ের চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
ভ্রমণ বিষয়ক একটি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ‘ফিটনেস হলিডে’-এর চাহিদা বেড়েছে ৮৪ শতাংশ। একই সময়ে ‘ইউরোপিয়ান ম্যারাথন’ লিখে গুগলে সার্চ করার সংখ্যা বেড়েছে ৪০৩ শতাংশ।
গবেষণা বলছে, দৌড়বিদদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সিটি ম্যারাথন এবং সাইপ্রাসের লিমাসল ম্যারাথন। এই দুটি ম্যারাথনের জন্য গুগলে সার্চ বেড়েছে যথাক্রমে ১,১০১ শতাংশ এবং ৩৯১ শতাংশ।
এর পরেই রয়েছে প্রাগ ম্যারাথন, প্যারিস ম্যারাথন, কোপেনহেগেন ম্যারাথন, রটারডাম ম্যারাথন, লন্ডন ম্যারাথন, স্টকহোম ম্যারাথন, হামবুর্গ ম্যারাথন এবং মাদ্রিদ ম্যারাথন-এর মতো জনপ্রিয় দৌড় প্রতিযোগিতাগুলো।
লন্ডন ম্যারাথন বিশ্বজুড়ে দৌড়বিদদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন।
শুধু তাই নয়, এই ম্যারাথন আয়োজনে স্থানীয় একটি হোটেল, ‘ওয়েস্টিন লন্ডন সিটি’ দৌড়বিদদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। দৌড়বিদদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করা থেকে শুরু করে, রেসের পরে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাসহ, এই হোটেলটি তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দৌড়ানোর উপযুক্ত জুতা বাছাই করা, সঠিক প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করা এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
এছাড়াও, দৌড়ের সময় শরীরের জলশূন্যতা রোধ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা এবং দৌড়ের আগে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশেও এখন দৌড়ানোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন শহরে নিয়মিত ম্যারাথন ও বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতেও এখন অনেক মানুষ নিয়মিত দৌড়ানোকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তুলছেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও দৌড়বিদদের বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যা এই খেলাটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপের ম্যারাথনগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দৌড়বিদদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, সুন্দর দৃশ্য এবং উন্নত আয়োজন অন্যতম। এই দৌড়গুলোতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শুধু শারীরিক সক্ষমতাই বাড়ে না, বরং নতুন সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার