ইউরোপে ব্ল্যাকআউট: বিমানবন্দরে অচলাবস্থা, ভ্রমণকারীদের জন্য জরুরি খবর!

ইউরোপের কয়েকটি দেশে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স এবং ইতালির বিমানবন্দর ও পরিবহন ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ২৮শে এপ্রিল, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পর্তুগাল, স্পেনের বিস্তীর্ণ এলাকা, ফ্রান্স এবং ইতালির কিছু অংশে এই বিভ্রাট হয়। এতে জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা পর্যন্ত ব্যাহত হয়েছে।

পর্তুগালে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ই-রেডস জানিয়েছে, ইউরোপীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সমস্যার কারণে এই বিভ্রাট হয়েছে এবং তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। পর্তুগালের একাধিক হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী লিসবনের একটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় অপারেশন থিয়েটার এবং জরুরি বিভাগের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া, হাসপাতালের ফ্রিজে রাখা ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পর্তুগালের জাতীয় জরুরি বিভাগ (INEM) তাদের জরুরি পরিকল্পনা সক্রিয় করেছে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের ১১২ নম্বরে ফোন না করার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে কল সেন্টারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না হয়। একইসাথে, পর্তুগালের পুলিশ জানিয়েছে, দেশের ট্রাফিক লাইটগুলো কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় বের হলে চালকদের গতি কমাতে এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

স্পেনেও এই বিভ্রাটের প্রভাব পড়েছে। মাদ্রিদ ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। এছাড়া, মাদ্রিদ ও লিসবনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামায় ব্যাপক বিলম্ব হচ্ছে। অনেক ফ্লাইট হয়রানির শিকার হয়েছে এবং যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। স্পেনের বিদ্যুৎ গ্রিড অপারেটর রেড ইলেক্ট্রিকা জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে। সাইবার হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনার জেরে ইউরোপ ভ্রমণে যাওয়া অথবা ইউরোপ হয়ে অন্য কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার ব্যবস্থা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *