ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার হ্রাস করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। বৃহস্পতিবার, ব্যাংকটি তার প্রধান সুদের হার ২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.২৫ শতাংশ করেছে।
ইউরোজোনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিতে শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ গত এক বছরে সুদের হার কমানোর সপ্তম ঘটনা।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) মূলত ইউরোর ব্যবহারকারী ২০টি দেশের জন্য আর্থিক নীতি নির্ধারণ করে। সুদের হারের এই পরিবর্তন বিশ্ব অর্থনীতির উপর একটি প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কারণে ইউরোপীয় অর্থনীতির ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই হার কমানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুদের হার কমানোর ফলে ইউরোজোনে ঋণ নেওয়া কিছুটা সহজ হবে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে এর পাশাপাশি, বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে এবং এই ধরনের পরিবর্তন সেই সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের মতে, ইউরোপের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারেও পরিবর্তন আনতে পারে।
তাই, দেশের বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগ কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারের এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারের এই ধরনের পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে এবং তখন এর সঠিক প্রভাব বোঝা যাবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন