জার্মানীর একটি নতুন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসার এরোস্পেস (Isar Aerospace), সম্প্রতি নরওয়ের একটি স্থান থেকে তাদের তৈরি ‘স্পেকট্রাম’ নামের একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষমতা সম্পন্ন এই রকেটটির যাত্রা ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত।
উৎক্ষেপণের কয়েক সেকেন্ড পরেই এটি বিধ্বস্ত হয় এবং নরওয়ের সাগরে পতিত হয়। তবে, কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই মিশনটি তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে কক্ষপথে পৌঁছাতে সক্ষম কোনো রকেট উৎক্ষেপণের ঘটনা এটাই প্রথম। যদিও উৎক্ষেপণটি সফল হয়নি, তারপরও ইসার এরোস্পেস একে তাদের জন্য একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছে।
তারা জানিয়েছে, এই অল্প সময়ের উড়ানে তারা অনেক ডেটা সংগ্রহ করতে পেরেছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ মিশনে কাজে লাগবে।
বর্তমানে, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলোও তাদের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে।
ইসার এরোস্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যানিয়েল মেটজলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইউরোপের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এখনো অটুট, তা প্রমাণ করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা সারা বিশ্ব থেকে গ্রাহকদের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারব।”
মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (European Space Agency – ESA) সহ ফ্রান্সের আরিয়ানগ্রুপের মতো কোম্পানিগুলোরও নিজস্ব রকেট রয়েছে। তবে তারা সাধারণত ইউরোপের বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎক্ষেপণ করে থাকে।
এই ঘটনার মাধ্যমে, মহাকাশ গবেষণায় ইউরোপের দেশগুলোর আগ্রহ এবং সক্ষমতা আবারও একবার সামনে এসেছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার দৌড়ে তারা কতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন