ইউরোভিশন ২০২৩: আন্তর্জাতিক গানের আসরের খুঁটিনাটি
প্রতি বছর ইউরোপ সহ সারা বিশ্ব থেকে আসা শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা। এটি কেবল একটি গানের আসর নয়, বরং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি আর সঙ্গীতের এক মিলনমেলা।
আগামী ১৭ই মে সুইজারল্যান্ডের বেসেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসর। সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৬ কোটি দর্শক এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোভিশন মূলত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলেও, এখন এর পরিধি বেড়েছে অনেক। বিভিন্ন মহাদেশের শিল্পীরাও এতে অংশ নেন।
এবারের আসরেও বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও তাদের গান নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা তাদের সেরা গানগুলো নিয়ে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
গানের কথার গভীরতা, সুরের মাধুর্য এবং মঞ্চের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা—সবকিছু মিলিয়ে দর্শকদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে।
এবার ফ্রान्सের লউয়ানে’র ‘মামান’ গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।
সুইডেনের ব্যান্ড ‘কাজ’-এর ‘বারা বাদা বাস্তু’ গানটিও শ্রোতাদের মন জয় করেছে।
অস্ট্রিয়ার শিল্পী জে জে তার ‘ওয়েস্টেড লাভ’ গান দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে প্রস্তুত।
এছাড়াও, আইসল্যান্ডের ভাইকিং ঘরানার শিল্পী ভেব এবং সান মারিনোর গ্যাবরি পন্টের গানগুলোও এবারের আসরে অন্যরকম মাত্রা যোগ করবে।
তবে, কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটেছে।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিতর্কের কারণে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাল্টার শিল্পী মিরিয়ানা কন্তের গান পরিবর্তনের জন্যেও চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৭ই মে, রবিবার।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি বিবিসি ওয়ানে সম্প্রচারিত হবে।
এছাড়াও, বিবিসি সাউন্ডস এবং রেডিও ২-এও শোনা যাবে।
ইউরোভিশন একটি আন্তর্জাতিক গানের প্রতিযোগিতা, যেখানে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের একটি উজ্জ্বল চিত্র ফুটে ওঠে।
এটি কেবল গান শোনার একটি মাধ্যম নয়, বরং বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনেরও একটি সুযোগ।
তথ্য সূত্র: The Guardian