ইউরোপের সবচেয়ে বড় লাইভ সঙ্গীত অনুষ্ঠান, ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা, আগামী বছর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই খবরটি নিশ্চিত করেছে অস্ট্রিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম, ওআরএফ। সাধারণত, যে দেশ বিজয়ী হয়, সেই দেশেই পরের বছর এই প্রতিযোগিতার আসর বসে।
সেই হিসেবে, ২০২৩ সালের বিজয়ী শিল্পী, জে জে-র (Johannes Pietsch) সূত্রে অস্ট্রিয়া এবার এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে।
ভিয়েনার ‘উইনার স্টাডতাহল’ (Wiener Stadthalle)-এ অনুষ্ঠিত হবে এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতা।
২০২২ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের বাসেল-এ জে জে ‘ওয়েস্টেড লাভ’ গানটি গেয়ে জয়লাভ করেন।
এরপরই ভিয়েনাকে ২০২৩ সালের আয়োজক শহর হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
ওআরএফ-এর মহাপরিচালক রোলান্ড ওয়েইসম্যান জানিয়েছেন, ভিয়েনার অবকাঠামো, লজিস্টিকস এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে শহরটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ইউরোভিশন প্রতিযোগিতা মূলত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে একটি গানের প্রতিযোগিতা, যেখানে বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা তাদের গান পরিবেশন করেন।
এটি শুধু একটি গানের মঞ্চ নয়, বরং এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মিলনস্থলও বটে।
এই প্রতিযোগিতার দর্শক সংখ্যা বিশাল, যা প্রায় ১৬০ মিলিয়ন।
এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান।
আগামী বছর, সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১২ ও ১৪ মে এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ মে।
ভিয়েনা এর আগেও দুবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে – ১৯৬৭ এবং ২০১৫ সালে।
ভিয়েনার মেয়র মিশায়েল লুডভিগ জানিয়েছেন, তারা এই আয়োজন সফল করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, “ভিয়েনা আবারও অস্ট্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত এবং আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর মে মাস উপভোগ করব।”
ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশের সরাসরি অংশগ্রহন না থাকলেও, এই ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন সম্পর্কে জানা বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও বাড়ায়।
এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি এবং সঙ্গীত সম্পর্কে অবগত হতে পারি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস