ঠান্ডায় জমে গিয়েছিল! রিও ছেড়ে -৫ ডিগ্রিতে খেলতে গিয়ে যা হলো এভানিelson-এর

এখানে বর্নিত খেলোয়াড়টি হলেন এভানিelson, যিনি বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল বোর্নমাউথের হয়ে খেলেন। সম্প্রতি, এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের জীবন ও ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে।

**ফুটবল জীবনের শুরু এবং প্রতিকূলতা**

এভানিelson ব্রাজিলের ফোর্টালিজাতে বেড়ে ওঠেন। তার বাবা ছিলেন তার প্রথম কোচ। ১৩ বছর বয়সে তিনি ফ্লুমিনেন্সের যুব একাডেমিতে যোগ দেন।

তবে, তার জীবনে আসে এক গভীর শোকের ছায়া। ১৭ বছর বয়সে মা-কে হারানোয় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমনকি ফুটবল ক্যারিয়ার থেকে দূরে যাওয়ারও চিন্তা করেছিলেন।

তবে, মায়ের প্রতি ভালোবাসাই তাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে। বুকের উপর মায়ের উদ্দেশ্যে করা ট্যাটুটি সবসময় তাকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।

**ইউরোপের চ্যালেঞ্জ এবং অভিজ্ঞতার ঝুলি**

ফুটবল খেলার উদ্দেশ্যে রিও ডি জেনেইরোর মত শহর ছেড়ে স্লোভাকিয়ার একটি ছোট শহরে পাড়ি জমান এভানিelson। সেখানে তীব্র শীতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।

একবার অনুশীলনে এতটাই ঠান্ডা লেগেছিল যে তিনি তা শেষ করতে পারেননি। স্লোভাকিয়ার এই অভিজ্ঞতা তার ফুটবল জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয়। সেখানকার কঠিন পরিস্থিতি তাকে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আরও পরিণত করে তোলে।

এরপর পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে খেলার সময় অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। পেপে তাকে খেলার কৌশল এবং ইউরোপীয় ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেন। এভানিelsonের মতে, পেপে ছিলেন একজন অসাধারণ পরামর্শদাতা।

**ইংলিশ ফুটবলে আগমন এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন**

বর্তমানে এভানিelson বোর্নমাউথের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ক্লাবটির হয়ে খেলার সুযোগকে তিনি দারুণভাবে উপভোগ করছেন। খেলোয়াড় হিসেবে নিজের উন্নতি এবং ক্লাবের উন্নতির জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন।

সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে জয়লাভ করে বোর্নমাউথ। সেই জয়ে অবদান রাখাটা এভানিelson এর কাছে ছিল বিশেষ কিছু। তার স্বপ্ন বোর্নমাউথের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও এভানিelson খুবই সুখী। তার স্ত্রী এবং মেয়ের সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ডে ভালোভাবে বসবাস করছেন। পরিবার পরিজন সবসময় তার পাশে থেকে তাকে উৎসাহ জুগিয়েছে।

এভানিelson এর ফুটবল জীবনের গল্প শুধু একজন খেলোয়াড়ের সাফল্যের কাহিনী নয়, বরং এটি হলো সাহস, শোক, এবং ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *