এভারটনে আসছেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার, দলবদলের গুঞ্জন!

এভারটনের মালিকানায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ক্রিস্টোফার সারোফিম। ফুটবল ক্লাবটি তাদের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে ৬২ বছর বয়সী এই মার্কিন ব্যবসায়ীর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। সারোফিমের মালিকানাধীন একটি কোম্পানি বিপুল পরিমাণ সম্পদের দেখভাল করে, এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বিশাল।

জানা গেছে, সারোফিম এভারটনের মালিকানা গ্রুপ, রাউন্ডহাউস ক্যাপিটালের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি হয়েছেন। ক্লাব পরিচালনা পর্ষদে তিনি একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই মুহূর্তে ক্লাবটির দৈনন্দিন কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়েছে ‘দ্য ফ্রাইডকিন গ্রুপ’ (টিএফজি), যারা গত ডিসেম্বরে ফারহাদ মোশিরি থেকে ক্লাবটির মালিকানা কিনেছিল।

সারোফিমের পারিবারিক কোম্পানি, সারোফিম ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট, প্রায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি) সম্পদ পরিচালনা করে। এভারটনের বর্তমান মালিকরা তাদের আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তাকে দলে ভেড়াচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে সারোফিমের সম্পদের পরিমাণ ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ধারণা করা হচ্ছে, সারোফিমের বিনিয়োগ সরাসরি ক্লাবে না গিয়ে রাউন্ডহাউস ক্যাপিটালে যুক্ত হবে।

তবে, সারোফিমই প্রথম নতুন বিনিয়োগকারী নন, যিনি এভারটনের মালিকানা গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন। টিএফজি’র পক্ষ থেকে এমন বিনিয়োগকারীদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে, যাদের নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং যোগাযোগ রয়েছে। অন্য অনেক আমেরিকান মালিকের মতো তারা তারকা খ্যাতি সম্পন্ন বিনিয়োগকারী না এনে বরং কার্যকরী বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে।

অন্যদিকে, এভারটনের মাঠের বাইরের চিত্রও দ্রুত বদলাচ্ছে। জানুয়ারিতে ক্লাবটির ম্যানেজার শন ডাইচকে বরখাস্ত করে ডেভিড ময়েসকে নতুন দায়িত্বে আনা হয়। ডেভিড ময়েসের অধীনে দলটি প্রিমিয়ার লিগে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

এছাড়া, লিডস ইউনাইটেড থেকে অ্যাঙ্গাস কিনেয়ারকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি গ্রীষ্মকালে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমান স্পোর্টিং ডিরেক্টর কেভিন থেলওয়েল-এর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না।

ইতিমধ্যে টিএফজি ক্লাবের দেনা কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এক সময় ক্লাবের ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সম্প্রতি তারা ৩৫ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বেশি) একটি ঋণ চুক্তি করেছে।

নতুন স্টেডিয়ামটি ৫২,৮৮৮ জন দর্শক ধারণ করতে পারবে এবং এটি গ্রীষ্মকালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এই ঋণের সুদের হার আগের চেয়ে অর্ধেকেরও কম হওয়ায় প্রতি বছর এভারটনের প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, ক্লাবটি তাদের নারী দলের জন্য ঐতিহ্যবাহী গুডিসন পার্ককে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে। আগামী মাসের শেষ নাগাদ এর ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *