আবারও ফিরছে ‘ফেকিং ইট’! টিভির পর্দায় দারুণ আইডিয়া!

শিরোনাম: ভিন্ন পেশার মানুষের জীবন অদল-বদলের গল্প নিয়ে ফিরছে ‘ফেইকিং ইট’

নব্বই দশকের শেষের দিকে এবং দুই হাজারের শুরুতে টেলিভিশনে একটি ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের বেশ চল ছিল। যেখানে পরিচিত জগতের বাইরে গিয়ে ভিন্ন পেশার মানুষের জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করা যেত।

সেই সময়ের জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান ‘ফেইকিং ইট’ আবারও ফিরে আসছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি মূলত একজন মানুষের জীবনযাত্রাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।

যেখানে তারা তাদের পরিচিত জগৎ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিবেশে গিয়ে অন্য একটি মানুষের জীবন কিভাবে অতিবাহিত হয়, সেটি জানার সুযোগ পায়।

অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্বে দেখা যায়, রেক্স নামের একজন যুবক, যিনি লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রির ব্যবসা করেন।

তাকে একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। উত্তর ইংল্যান্ডের একটি শহরে গিয়ে একজন সাধারণ বাজারের ব্যবসায়ীর মতো জীবন যাপন করতে হবে।

রেক্সের এই নতুন ভূমিকাই হলো গল্পের মূল আকর্ষণ।

রেক্সকে তার নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত হতে হয়। সেখানকার সংস্কৃতি, ভাষা এবং জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হতে হয় তাকে।

বাজারের ব্যবসায়ীর বেশে রেক্সকে মাংস বিক্রির কৌশল শিখতে হয়।

টনি ও এলিয়ট নামের দুজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীর তত্ত্বাবধানে সে এই কাজটি করতে শুরু করে। তারা রেক্সকে নতুন কাজটি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয় এবং কিভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, সে বিষয়ে ধারণা দেয়।

রেক্সকে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে হয় এবং তাদের মতোই কথা বলতে হয়।

অনুষ্ঠানে রেক্সের এই পরিবর্তন দর্শকদের কাছে বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। একদিকে যেমন তার অভিজাত জীবনযাত্রা, তেমনই অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা—সবকিছুই দর্শকদের আকর্ষণ করে।

রেক্সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন একজন অভিনেতা, যিনি এই চরিত্রে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

অনুষ্ঠানটি বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং তাদের জীবনযাত্রার ভিন্নতা তুলে ধরে। এটি দর্শকদের মধ্যে সহানুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করে।

‘ফেইকিং ইট’ সম্ভবত এমন একটি সময়ে ফিরে আসছে, যখন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যেকার ব্যবধান আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে এবং তাদের জীবনযাত্রাও ভিন্ন।

এই অনুষ্ঠানে সেই ভিন্নতাকে সম্মান জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি পুরাতন সংস্করণের মতোই আকর্ষণীয় হবে কিনা, সেটি সময়ই বলবে। তবে, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য একটি উপভোগ্য অনুষ্ঠান উপহার দিতে প্রস্তুত।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *