যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যে, একটি পরিবারের চার সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার, ১০ই মে, জনসন লেকের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এটিকে প্রাথমিকভাবে ‘হত্যা ও আত্মহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৪২ বছর বয়সী জেরেমি কোচ, তার ৪১ বছর বয়সী স্ত্রী বেইলি এবং তাদের দুই ছেলে, ১৮ বছর বয়সী হাডসন ও ১৬ বছর বয়সী অ্যাশার।
ডসন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জেরেমি কোচ সম্ভবত তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন।
ঘটনার দিনটি ছিল তাদের বড় ছেলে হাডসন এর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার দিন।
এই ঘটনার পর, নেব্রাস্কা স্টেট পেট্রোল (NSP) একটি বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
নিহতদের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত বেইলির কর্মস্থল হোল্ডরিজ পাবলিক স্কুলস-এর পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় তারা গভীরভাবে শোকাহত।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং শোক পালনের জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ চ্যানেল নেব্রাস্কা সূত্রে জানা গেছে, বেইলি কোচের ফেসবুক পেজে তার স্বামীর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
ঘটনার কয়েক দিন আগে, তিনি ‘জেরেমির মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজন’ শিরোনামে একটি তহবিল সংগ্রহেরও চেষ্টা করেছিলেন।
সেখানে তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে জেরেমির মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে এবং সম্প্রতি তা আরও বাড়ে।
জানা যায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে তিনি তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করারও ব্যবস্থা করেছিলেন।
এই দুঃখজনক ঘটনার পর, কোজাড কমিউনিটি স্কুলস-এর পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর প্রতি সকলের সচেতন হওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল