ভাইরাল মা: শিশুদের সাথে কাটানো নীরব, সুন্দর মুহূর্ত!

আজকের দিনে, যখন ব্যস্ততা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে সময় কাটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মব্যস্ত বাবা-মায়েদের জন্য সন্তানদের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানো যেন এক চ্যালেঞ্জ।

এমন পরিস্থিতিতে, পরিবারের বন্ধন দৃঢ় করতে এবং শিশুদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগাতে একটি অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছেন ছয় সন্তানের মা, মেঘান জয়ে ইয়ান্সি।

তিনি এবং তার স্বামী মিলে তাদের পরিবারের জন্য একটি ‘পারিবারিক পঠন সময়’ (Paribarik Pathon Shomoy) চালু করেছেন। এই সময়ে, পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে বই পড়ে।

তাদের এই উদ্যোগ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। টিকটকে তাদের এই কার্যক্রমের ভিডিও আপলোড করার পর তা দ্রুত ভাইরাল হয়।

ইয়ান্সি জানান, তার স্বামী সবসময় তাদের পরিবারের জন্য কিছু বিশেষ সময় তৈরি করতে চাইতেন, যেখানে সবাই একসঙ্গে কিছু করতে পারবে। তারা চেয়েছিলেন, এই সময়টা শুধু একসঙ্গে কাটানোই নয়, বরং এর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহও তৈরি হবে।

নিয়মিতভাবে, সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন, ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের জন্য তারা এই পঠন সময়ে মিলিত হন। পরিবারের সদস্যরা তাদের পছন্দের বই নিয়ে আসে।

কেউ গল্পের বই পড়ে, কেউবা কমিকস, আবার কেউ প্রবন্ধ অথবা জীবনী। তাদের কনিষ্ঠ সদস্য, যার বয়স ছয় বছর, সে এখনো ভালোভাবে পড়তে না পারলেও, অন্যদের সঙ্গে বসে ছবি দেখে অথবা খেলনা নিয়ে সময় কাটায়।

ইয়ান্সি মনে করেন, বই শিশুদের জ্ঞান অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে তারা নতুন কিছু জানতে ও বুঝতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অপরিহার্য।

এই পারিবারিক পঠন সময়ের ধারণাটি শুধু ইয়ান্সি পরিবারেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেকেই তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং তাদের নিজেদের পরিবারেও এটি চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, তাদের শৈশবেও পরিবারের সঙ্গে বই পড়ার স্মৃতি রয়েছে। ইয়ান্সি চান, তার এই উদ্যোগ অন্যদেরও উৎসাহিত করুক।

তার মতে, দিনের শেষে, পরিবারের সবাই একসঙ্গে কিছু করার জন্য সময় বের করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয় এবং একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারিবারিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। বাবা-মায়ের এই ধরনের উদ্যোগ শিশুদের মনে বইয়ের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে, যা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়তা করে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *