ফ্যান্টাস্টিক ফোর: প্রথম পদক্ষেপ, মার্ভেলের বাজিমাত!

মার্ভেলের নতুন ছবি ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে সিনেমাটি শুধু উত্তর আমেরিকাতেই আয় করেছে ১১৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২৮০ কোটি টাকার সমান।

একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এর সংগ্রহ ১০০ মিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ২১৮ মিলিয়ন ডলারে।

চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ ওপেনিং-এর রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’, ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘সুপারম্যান’ এর চেয়ে বেশি আয় করেছে।

মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (MCU)-এর ইতিহাসে ‘ডেডপুল অ্যান্ড ওলভারিন’-এর পর এটিই সবচেয়ে বড় ওপেনিং। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘ডেডপুল অ্যান্ড ওলভারিন’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ২১১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।

সুপারহিরো ঘরানার সিনেমাগুলোর দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে যখন অনেকে সন্দিহান, ঠিক তখনই ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’-এর এই সাফল্য নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।

চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, ভালো মানের সিনেমা তৈরি হলে দর্শক তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া জেমস গান পরিচালিত ‘সুপারম্যান’ সিনেমাটিও বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করছে।

মুক্তির তিন সপ্তাহের মধ্যেই সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে।

‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ মূলত ১৯৬০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত, যেখানে মহাকাশচারীদের একটি দল মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে।

ছবিতে রিড রিচার্ডস চরিত্রে অভিনয় করেছেন পেদ্রো প্যাসকেল, যিনি তার শরীরকে ইচ্ছামতো প্রসারিত করতে পারেন। সু স্টর্মের চরিত্রে ভ্যানেসা কিরবি, যিনি অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

জনি স্টর্মের ভূমিকায় জোসেফ কুইন, যিনি আগুনে রূপান্তরিত হতে পারেন। আর বেন গ্রিম চরিত্রে আছেন ইবোন মোস-ব্যাকরাক, যিনি পাথরের মতো শক্ত চামড়ার অধিকারী।

দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। রটেন টমেটোস-এ ছবিটির রেটিং ৮৮%

সিনেমা হলে আসা দর্শকদের একটি বড় অংশ প্রিমিয়াম স্ক্রিনে ছবি উপভোগ করেছেন।

মার্ভেল তাদের সিনেমাগুলোর দর্শকপ্রিয়তা ধরে রাখতে চাইছে। এর আগের দুটি সিনেমা ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’ বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি।

তবে, সমালোচকদের মতে, সিনেমাগুলোর মান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে।

সিনেমাটির সাফল্যের কারণ হিসেবে নির্মাতারা বলছেন, গল্পের নতুনত্ব এবং ভিজ্যুয়ালের চমৎকারিত্ব দর্শকদের মন জয় করেছে।

তাছাড়া, পুরনো ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ সিরিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হয়েছে।

বক্স অফিসের শীর্ষ দশের অন্যান্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সুপারম্যান’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’, ‘এফ১: দ্য মুভি’, ‘স্মার্ফস’, ‘আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার’ ইত্যাদি।

সিনেমা ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় ১২% বেশি।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *