মার্ভেল স্টুডিওস-এর নতুন ছবি ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনেপ্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। ১৯৬০ দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে, জ্যাক কার্বি এবং স্ট্যান লির সৃষ্টি করা সুপারহিরো দলটিকে নতুন করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রেট্রো-ফিউচারিজম এবং অতীতের আমেরিকান আশাবাদের এক মিশ্রণে মোড়া এই ছবি, মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স-এর দর্শকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে।
ছবিটির গল্প শুরু হয় যখন রিড রিচার্ডস (পেড্রো প্যাসকেল), সু স্টর্ম (ভেনেসা কিরবি), জনি স্টর্ম (জোসেফ কুইন) এবং বেন গ্রিম (ইবন মসহ-বাখরাক) – এই চারজন নভোচারী মহাকাশে পাড়ি জমান। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর, তারা বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে।
রিড পরিণত হন মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক-এ, যিনি শরীরকে ইচ্ছামতো প্রসারিত করতে পারেন। সু স্টর্ম হয়ে ওঠেন ইনভিজিবল ওম্যান, অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে। জনি স্টর্ম পরিচিত হন হিউম্যান টর্চ হিসাবে, যিনি আগুন তৈরি করতে পারেন। আর বেন গ্রিম, যিনি পাথরের মতো শক্ত “থিং”-এ রূপান্তরিত হন।
এই পরিবর্তনের পরেই তাদের সুপারহিরো হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হয়।
ছবিতে, সিলভার সার্ফার (জুলিয়া গার্নার) এবং গ্যালাক্টাস (রালফ ইনসন)-এর উপস্থিতি দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে।
গ্যালাক্টাস, যিনি গ্রহ-ভক্ষণকারী এক ভিলেন, পৃথিবীর জন্য এক বিশাল হুমকি নিয়ে আসেন। ছবির ভিজ্যুয়াল এফেক্টস এবং গ্যালাক্টাসের বিশালতা ফুটিয়ে তোলার কাজটি প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যদিকে সিলভার সার্ফারের চরিত্রে জুলিয়া গার্নারের অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে।
পরিচালক ম্যাট শ্যাকম্যান, বিশেষ করে গ্যালাক্টাসের বিশালতা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। ছবির রেট্রো ডিজাইন এবং ১৯৬০ দশকের আবহ দর্শকদের নস্টালজিক করে তোলে।
তবে, ছবির গল্প বলার ধরনে কিছু দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ করে, ফ্যান্টাস্টিক ফোরের পারিবারিক সম্পর্ক এবং মাতৃত্বের মতো বিষয়গুলো ছবিতে আরও গভীরতা পেলে ভালো হতো।
সব মিলিয়ে, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স-এর জন্য একটি ভালো সূচনা। ছবির ত্রুটিগুলো সত্ত্বেও, এর শক্তিশালী নির্মাণশৈলী এবং আকর্ষণীয় চরিত্রগুলি দর্শকদের ভালো লাগবে।
যারা কমিক বই ভালোবাসেন, তাদের জন্য ছবিটি একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হতে পারে।
ছবিটির দুর্বলতা সত্ত্বেও, এর ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, রেট্রো ডিজাইন এবং শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। যারা সুপারহিরো সিনেমা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি উপভোগ্য চলচ্চিত্র।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস