ফারাজের দলের জয়: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্তেজনা!

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে আবারও পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া স্থানীয় নির্বাচনে কট্টর-ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকে’র প্রার্থী সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন।

দলটির নেতা, নাইজেল ফ্যারেজ, এই জয়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রুনকর্ন এবং হেলসবি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিফর্ম ইউকে’র সারা পচিন মাত্র ৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন, পরাজিত করেন লেবার পার্টির প্রার্থীকে।

এই ফলাফল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টি এই আসনে জয়লাভ করেছিল, তবে তাদের সংসদ সদস্য মাইক অ্যামেসবারি মারামারির অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

স্থানীয় নির্বাচনগুলো মূলত প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের প্রতি জনসমর্থনের একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনে লেবার এবং প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি উভয়কেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

রিফর্ম ইউকে, যা গত বছর জাতীয় নির্বাচনে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, এখন পর্যন্ত হাউস অফ কমন্সে ৫টি আসন নিশ্চিত করেছে। জনমত জরিপে দলটির জনপ্রিয়তা লেবার এবং কনজারভেটিভ পার্টির কাছাকাছি পৌঁছেছে।

২০২৯ সালের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা কনজারভেটিভ পার্টিকে সরিয়ে দেশের প্রধান ডানপন্থী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। বৃহত্তর লিংকনশায়ারের মেয়র পদেও রিফর্ম ইউকে’র জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচনে স্থানীয় কাউন্সিলের ১,৬০০টি আসন, ৬টি মেয়র পদ এবং পার্লামেন্টের একটি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় নির্বাচনে রিফর্ম ইউকে’র এই সাফল্য তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এছাড়া, কনজারভেটিভ পার্টির জন্য ফল সম্ভবত খুব একটা ভালো হয়নি। কন্সারেভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ ফলাফলের প্রতিকূলতা স্বীকার করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কনজারভেটিভ এবং রিফর্ম দল উভয়েই যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী ভোটের জন্য লড়াই করছে। কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের অধ্যাপক টিম বেল বলেছেন, ফ্যারেজের “জনতাবাদী উগ্র ডানপন্থী বিদ্রোহ” লেবার পার্টির জন্যও হুমকি স্বরূপ, কারণ তারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সরকারি অপচয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির ভোটারদের আকৃষ্ট করছে।

অন্যদিকে, উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটরাও কনজারভেটিভদের কাছ থেকে আরো বেশি ধনী ও সামাজিক উদারনৈতিক ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *