২ মাস পর: কৃষকের খোঁজে, সার ঘাঁটতেই মিলল বীভৎস!

আয়ারল্যান্ডের কেনমারে নিখোঁজ হওয়া এক কৃষকের সন্ধান চেয়ে চলাকালীন সময়ে তার খামারে মানবদেহের কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়া ৫৬ বছর বয়সী মাইকেল গেইনের মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ।

২০শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে কেনমারে টাউনে মাইকেল গেইনকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। এর পরের দিনই তিনি নিখোঁজ হন এবং ২১শে মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পুলিশ সার্ভিস, ‘আন গার্দা সিওচানা’ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত সপ্তাহান্তে গেইনের খামারে তরল গোবরের মধ্যে কিছু মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো মাইকেল গেইনের দেহাংশ। পুলিশের ধারণা, তাকে খুন করা হয়েছে এবং সম্ভবত তার দেহকে খণ্ড-বিখণ্ড করে গোবরের ট্যাংকে ফেলা হয়েছিল।

তদন্তের অংশ হিসেবে, পুলিশ শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে কেনমারে ক্যারিগ ইস্ট এলাকার খামারটিতে পুনরায় তল্লাশি শুরু করে এবং এলাকাটিকে অপরাধের স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। শনিবার, ১৭ই মে, ২০২৫ তারিখে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং স্টেট প্যাথলজিস্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এখনো পর্যন্ত মানবদেহের কিছু অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। অন্যান্য দেহাংশ উদ্ধারের জন্য তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলো মাইকেল গেইনের কিনা, তা নিশ্চিত করা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত কৃষকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য আইরিশ টাইমস’-এর খবর অনুযায়ী, গেইন নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পরেই গোবরের ট্যাঙ্কটি খালি করা হয়েছিল। তবে, দেহাবশেষগুলো ঘটনার সময় থেকেই সেখানে ছিল, নাকি পরে ফেলা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পত্রিকাটি আরও জানায়, পুলিশের ধারণা, ব্যক্তিগত কোনো বিরোধের জের ধরে গেইনকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত মাইকেল গেইনের স্ত্রী জেনিস গেইন গণমাধ্যমকে জানান, তার স্বামীর নিখোঁজ হওয়াটা তাদের জন্য “ভয়াবহ” একটি বিষয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা জানতে চাই, আসলে কি ঘটেছিল। মাইকেলকে খুঁজে না পেলে আমি কি করব, জানি না।”

মাইকেল গেইনের পরিবারের সদস্যরা এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *