ফার্মার ওয়াইফ: ছেলের বিয়ে নিয়ে মায়ের উদ্বেগ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে?

“কৃষক চায় বউ” – জনপ্রিয় এই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভালোবাসার সন্ধানে আসা পুরুষদের পরিবারগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রচারিত একটি পর্বে, কৃষকদের সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তাদের পরিবারের সাক্ষাৎ হয়। আর সেখানেই উঠে আসে নানা প্রশ্ন, যা দর্শকদের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে দেখা যায়, কৃষক ম্যাট ওয়ারেন, জয় উডস, জন সানসোন এবং কল্টন হেন্ড্রিকস তাদের পছন্দের মেয়েদের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। এই পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল, পরিবারের সদস্যরা তাদের সন্তানদের সম্ভাব্য সঙ্গীর ব্যাপারে কতটা আগ্রহী এবং তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক কেমন, তা তুলে ধরা।

ম্যাটের সম্ভাব্য সঙ্গী জর্ডিনের বাবা-মা তাদের মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন। তারা জানতে চান, ম্যাট জর্ডিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা সিরিয়াস। জর্ডিনের বাবা জানান, তিনি চান তার মেয়ে সুখী হোক। কারণ, জর্ডিনের জীবনটা মূলত সংগীতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত। যদিও জর্ডিনের বাবা-মা ম্যাটকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন, তারপরও জর্ডিন ম্যাটের কাছ থেকে সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, জয়-এর সম্ভাব্য সঙ্গী গ্রেস-এর মা জানান, অতীতে গ্রেস তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। জয়-এর মা চান না, জয় যেন গ্রেসের সব দায়িত্ব একা পালন করে। গ্রেস অবশ্য জানান, তিনি এখন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছেন এবং তার মা-ও এতে খুশি।

জন-এর পরিবারের সঙ্গে লিলি’র সাক্ষাৎকালে, লিলি’র বাবা জন-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। জন কিভাবে একটি বড় পরিবারকে সামলাবেন, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান ছিলেন। যদিও জন জানান, তিনি তার বাবার মতোই হতে চান এবং একটি বড় পরিবার গড়তে চান।

কল্টনের সম্ভাব্য সঙ্গী কেলি’র বাবা-মা তাদের মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা জানতে চান, কল্টন কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? কল্টনের আগের একটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে তারা এই বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন। কেলি’র মা জানান, তিনি চান তার মেয়ে সুখী হোক।

অনুষ্ঠানের শেষে, কৃষকরা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মতামত কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই পর্বের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *