বাবা: নরখাদক! সৎ মায়ের মাংস খাওয়ার পর মেয়ের ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি

বাবা নরখাদক: মেয়ের মুখ থেকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা

ছোটবেলায় বাবার প্রেমিকা হেল ক্রিস্টেনসেনকে দ্বিতীয় মায়ের মতোই ভালোবাসত জ্যামি-লি অ্যারো। হেল তার কাছে ছিলেন বিশেষ একজন। কিন্তু বাবা ইসাকিন জনসন ও হেল প্রায়ই ঝগড়া করতেন, যা অল্প বয়সেই জ্যামিকে ভীত করে তুলেছিল।

২০০১ সালের নভেম্বরে, সুইডেনের স্কারাতে জনসন হেলকে হত্যা করে। নৃশংসতার চরম পর্যায় ছিল এই হত্যাকাণ্ড। জনসন হেলকে গলা কেটে, মুণ্ডু কেটে তার কিছু অংশ খেয়েছিল। এই ঘটনার পর জনসন ইসাকিন ডারাবাড নাম ধারণ করেন, যার অর্থ ‘আক্রান্ত’।

সম্প্রতি, ‘এভিল লিভস হেয়ার: দ্য কিলার স্পিকস’ নামক একটি অনুষ্ঠানে জ্যামি-লি তার বাবার সঙ্গে কাটানো জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, তার বাবা কীভাবে তাকে ভয়ঙ্কর ‘ভুদু পুতুল’ তৈরি করতে বাধ্য করতেন। জ্যামি-লি বলেন, তার ঘরে এমন দশটা পুতুল ছিল।

অনুষ্ঠানে উঠে আসে জ্যামি-লির বাবার আসল রূপের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কঠিন সংগ্রামের কথা। খুনের ঘটনার পর তার বাবার আচরণে পরিবর্তন আসে। তিনি জানান, কীভাবে তিনি বাবার জগৎ থেকে নিজেকে মুক্ত করেছেন।

২০১১ সালে জনসনকে হেল হত্যার দায়ে একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তিনি মুক্তি পান, তবে তার উপর নজরদারি এখনো বজায় রয়েছে। জ্যামি-লি জানান, তার বাবা এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন।

অনুষ্ঠানে জ্যামি-লি তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান, যা ছিল প্রায় চার বছর পর তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক দেখালেও, ধীরে ধীরে বাবার আসল রূপ প্রকাশ হতে শুরু করে। জ্যামি-লি জানান, তিনি তার বাবাকে ভালোবাসেন, কিন্তু তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে তার বাবা অসুস্থ এবং সম্ভবত এমন কাজ করতে সক্ষম।

অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর, জ্যামি-লি কয়েকবার তার বাবার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের মধ্যে গভীর আলোচনা হয়। তিনি বাবাকে জানান যে তিনি তাকে ভালোবাসেন এবং ক্ষমা করেছেন। কিন্তু এরপরেই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। তার বাবা তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে একটি বার্তা পাঠান, যার মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

বর্তমানে জ্যামি-লি তার বাবাকে হারানোর শোক পালন করছেন। তিনি বলেন, “আমি তাকে ভালোবাসি, কিন্তু তিনি কখনোই আমার বা আমার সন্তানদের জীবনে থাকতে পারবেন না।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *