মাত্র আট মাস আগে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর, চল্লিশ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ বাবার অকাল মৃত্যু হয়েছে। পেটের সাধারণ ব্যথাকে প্রথমে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি, কিন্তু যখন রোগ মারাত্মক রূপ নেয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কাইল ইনগ্রাম-বাল্ডউইন।
কাইলের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী এবং চারটি সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ৯, ৩ এবং ১ বছর।
কেন্ট-এর বাসিন্দা কাইল, গত বছর অক্টোবরে প্রথমবার পেটের ব্যথায় ডাক্তারের কাছে যান। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে এমনটা হচ্ছে, অথবা হয়তো সাধারণ কোনো সমস্যা।
কিন্তু দিন যত যেতে থাকে, তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। অবশেষে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায়, তিনি চতুর্থ স্তরের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত।
ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়ায়, চিকিৎসকেরা কাইলকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃত্যুর আগে তিনি সবসময় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। তিনি বলতেন, “আমার সন্তানদের জন্য আমি সবসময় ভালো কিছু চেয়েছি। তাদের মা-কে আমি ভালোবাসি। আমার স্ত্রী একজন অসাধারণ নারী।”
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে, কাইলের পরিবার তার চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে। এই উদ্দেশ্যে একটি তহবিলও গঠন করা হয়েছিল।
কিন্তু কাইলের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায়, সেই অর্থ সংগ্রহ সম্পন্ন হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর, কাইলের স্ত্রী জানান, সংগৃহীত সকল অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
মৃত্যুর আগে কাইল ইনগ্রাম-বাল্ডউইন সবাইকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, “যদি শরীরে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কোনো উপসর্গকে হালকাভাবে নেবেন না।”
তার এই কথাগুলো আমাদের সবার জন্য সতর্কবার্তা। কারণ, রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে, চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব।
কাইলের অকাল মৃত্যু একদিকে যেমন হৃদয়বিদারক, তেমনই জীবনের গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়।
তথ্য সূত্র: পিপল