শিরোনাম: স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে টিকিট নিয়ে পরিবারে বিভেদ
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক আলোচনায় উঠে এসেছে এক পরিবারের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের টিকিট নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার কথা।
ঘটনাটি হলো, এক পিতার ১৭ বছর বয়সী ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সীমিত সংখ্যক টিকিট বরাদ্দ করা হয়েছে, ফলে কে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েই এই বিপত্তি।
ছেলেটি তার বাবা, সৎ মা, মা এবং ভাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে চেয়েছিল।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে, ছেলেটি তার বাবাকে জানায়, সে যদি চায়, তাহলে শুধু সৎ মাকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে পারে এবং মা’কে আলাদাভাবে শুভেচ্ছা জানাতে পারে।
বাবা, ছেলের এই দ্বিধা বুঝতে পেরে তাকে মা’কে প্রাধান্য দিতে বলেন।
তিনি ছেলেকে পরামর্শ দেন, যদি কোনো বিশেষ কারণ না থাকে, তবে মা’কেই প্রথম টিকিটটি দেওয়া উচিত।
বাবার এই পরামর্শ শুনে ছেলেটি তার মাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।
কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন বাবার স্ত্রী, অর্থাৎ ছেলের সৎ মা, টিকিটের বিষয়টি জানতে পারেন।
তিনি জানতে চান, টিকিটগুলো কারা পাচ্ছে।
বাবা জানান, তিনি, তার ছেলে এবং ছেলের মা’কে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এতে সৎ মা কিছুটা বিস্মিত হন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
পরে, তিনি তার স্বামীর কাছে জানতে চান, কেন তিনি ছেলেকে তার বদলে তাকে টিকিট দিতে বলেননি।
বাবা জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ ছেলের সিদ্ধান্ত ছিল এবং সে তার মাকে টিকিট দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
সৎ মা তখন প্রশ্ন তোলেন, ছেলে কেন তাকে বাদ দিয়ে মাকে বেছে নিল, যেখানে সে মায়ের সঙ্গে খুব একটা মেশে না।
ছেলেটির বাবা তখন জানান, তিনি ছেলেকে তার মায়ের কথা ভেবেই এমনটা করতে বলেছিলেন।
বাবা আরও যোগ করেন, মায়ের সঙ্গে হয়তো ছেলের সবসময় দেখা হয় না, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, ছেলের জীবনে মায়ের কোনো গুরুত্ব নেই।
এই ঘটনায় সৎ মা বেশ মন খারাপ করেন এবং জানতে চান, তিনি কেন তার প্রাক্তন স্ত্রীর বদলে ছেলের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি কাটাবেন না।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকে বাবার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
তাদের মতে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানটি মূলত ছেলের, তাই এই অনুষ্ঠানে তার মা-বাবার উপস্থিত থাকাটাই স্বাভাবিক।
অনেকের মতে, সৎ মায়ের এই ধরনের আচরণ তার নিজের insegurança-র বহিঃপ্রকাশ।
এই ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্কের গভীরতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।
বিশেষ করে, আমাদের সমাজে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: পিপল