যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) দেশটির কয়েকটি আলোচিত ঘটনার পুনর্তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে হোয়াইট হাউসে পাওয়া যাওয়া কোকেন, ক্যাপিটল হিলের ঘটনার আগের রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে বোমা রাখা এবং গর্ভপাত সংক্রান্ত ‘রও বনাম ওয়েড’ মামলার খসড়া ফাঁসের মতো বিষয়গুলো।
এফবিআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বংগিনো এক বিবৃতিতে জানান, সংস্থাটি জনসাধারণের আগ্রহ রয়েছে এমন কয়েকটি মামলার তদন্তের ওপর পুনরায় মনোযোগ দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে হোয়াইট হাউসে কোকেন পাওয়ার ঘটনা। গত বছর হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং-এর নিচতলার প্রবেশপথের কাছে একটি ছোট ব্যাগে সাদা পাউডার পাওয়া যায়।
এছাড়াও, ক্যাপিটল হিলে হামলার আগের রাতে, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে দুটি পাইপ বোমা রাখার ঘটনার তদন্ত ফের শুরু হচ্ছে। একটি বোমা রাখা হয়েছিল ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (DNC) কাছে এবং অন্যটি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (RNC)-এর কাছে। ঘটনার কয়েকদিন পর ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালায়। যদিও ঘটনার কয়েক বছর পার হলেও, এফবিআই এখন পর্যন্ত বোমাগুলো স্থাপনকারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
বোমা স্থাপনকারীর ছবি প্রকাশ ও পুরস্কার ঘোষণা করা হলেও, তদন্ত এখনো কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
তদন্তের আওতায় আসা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সুপ্রিম কোর্টের ‘রও বনাম ওয়েড’ মামলার খসড়া ফাঁস। এই মামলাটিতে গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত ছিল। এই খসড়া ফাঁস হওয়ার পরে, ২০২২ সালের মে মাসে সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব তদন্ত করে, কিন্তু খসড়া ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়। জানা যায়, তদন্তকারীরা ৯৭ জন কর্মীর মধ্যে ১২৬টি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণ এবং কর্মীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সংযোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়েছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এফবিআই এই তিনটি ঘটনার তদন্তের জন্য নতুন করে মনোযোগ দিচ্ছে এবং সম্ভবত আরও বেশি সংস্থান ব্যবহার করবে। এর ফলে, এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং ঘটনার পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
