আতঙ্ক! কোভিড ভ্যাকসিনের নতুন নিয়মে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে?

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য নতুন ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে, তবে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক মার্কিনি, বিশেষ করে শিশু ও তরুণ প্রজন্মের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এই খবরটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উন্নত বিশ্বে গৃহীত স্বাস্থ্য বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলি প্রায়শই আমাদের দেশেও প্রভাব ফেলে।

এফডিএ সম্প্রতি ফাইজার, মডার্না এবং নোভাভ্যাক্স – এই তিনটি প্রস্তুতকারকের নতুন ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। বয়স্ক নাগরিকদের জন্য এই ভ্যাকসিনগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

তবে, কমবয়সী প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য, যাদের আগে থেকেই হাঁপানি বা অতিরিক্ত ওজনের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে, যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক, তাদের ঝুঁকি প্রমাণ করতে সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও, ফাইজার কোম্পানির ভ্যাকসিন এখন থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য উপলব্ধ হবে না। এফডিএ এই বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন বাতিল করেছে।

তবে, মডার্নার এমআরএনএ ভ্যাকসিন এখনও ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য উপলব্ধ থাকবে। যদিও, এই ভ্যাকসিন শুধুমাত্র গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত শিশুদের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।

নতুন এই ভ্যাকসিনগুলো ভাইরাসের নতুন রূপের বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে। তবে, অনেক মার্কিনি এখনো জানেন না যে তারা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কিনা।

ফেডারেল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি, ফার্মেসি এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর এর প্রাপ্যতা নির্ভর করবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম শ্যাফনার বলেছেন, “এই সীমাবদ্ধতাগুলো ভ্যাকসিনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং রোগী, চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন বিষয়ক এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের জন্য কিছু প্রশ্ন তৈরি করে। আমাদের দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা এবং বুস্টার ডোজের পরিস্থিতি কেমন?

এখানেও কি বয়স্ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে? এই বিষয়ে জনসচেতনতা এবং সঠিক তথ্যের প্রচার জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন সিদ্ধান্ত সম্ভবত আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতেও কিছু প্রভাব ফেলবে। তাই, এই বিষয়ে অবগত থাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *