বরফের নাচের মঞ্চে ব্রিটেনের ৩১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করলেন ল evidence evidenceিলা ফিয়ার ও লুইস গিবসন। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় এই ব্রিটিশ জুটি তৃতীয় স্থান অর্জন করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। তাদের এই জয় শুধু একটি পদক জয় নয়, বরং বরফ নৃত্যে ব্রিটেনের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করারও ইঙ্গিত বহন করে।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত দিনে, ফিয়ার ও গিবসন তাদের পছন্দের শিল্পী, বিয়ন্সের গানের সাথে পরিবেশনা শুরু করেন। তাদের নাচের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলেছিল। কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তারা তাদের সেরাটা উজাড় করে দেন।
তাদের স্কোর ছিল ১২৩.২৫, যা তাদের ব্রোঞ্জ পদক জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল। সামগ্রিকভাবে, তাদের স্কোর ছিল ২০৭.১১। ইতালির চার্লিন গুইনার্ড ও মার্কো ফাব্রিকে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে তারা তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেন।
এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আবেগাপ্লুত ফিয়ার বলেন, “আমি এখনো কাঁপছি। এটা একটা স্বপ্নের মতো, যা সত্যি হয়েছে। আমি সত্যিই খুব কৃতজ্ঞ।”
ব্রিটিশ বরফ নৃত্যের ইতিহাসে এই জয় একটি মাইলফলক। এর আগে, ১৯৯৪ সালে শেষবার ব্রিটিশ জুটি হিসেবে জেইন টরভিল ও ক্রিস্টোফার ডিন শীতকালীন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ জুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতল। গিবসন এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য! টরভিল ও ডিনের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা হয়, এবং আমি এতে গর্বিত।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি আশা করি, গ্রেট ব্রিটেনের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আমাদের দেখে বরফের স্কেটিং করতে উৎসাহিত হবে।”
প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন চক ও ইভান বেটস। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসার যোগ্য। কানাডার পাইপার জিলস ও পল পোয়ার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
ফিয়ার ও গিবসনের এই জয় শুধু তাদের জন্য নয়, ব্রিটেনের ক্রীড়া জগতের জন্যও একটি বিশাল অনুপ্রেরণা। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা থাকলে যেকোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান