মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জুলাই মাস থেকে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই গভর্নরের নাম ক্রিস্টোফার ওয়ালার।
তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমদানি শুল্কের কারণে মূল্যবৃদ্ধির চাপ সাময়িক হবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওয়ালার বলেন, সুদহার কমানোর বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময়। তিনি অবশ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বড় ধরনের হারে সুদ কমানোর পক্ষপাতী নন।
ওয়ালার চান, ধীরে ধীরে এই কাজটি করা হোক।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ফেডারেল রিজার্ভ এবং এর প্রধান জেরোম পাওয়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, তারা যথেষ্ট দ্রুত সুদের হার কমাচ্ছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ অনেকটা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো কাজ করে। ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান কাজ হলো, দেশের মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
এর মাধ্যমে তারা সুদের হার নির্ধারণ করে এবং বাজারের ಹಣ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সুদের হার কমালে সাধারণত ঋণ নেওয়া সহজ হয়, যা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
তবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে, যেমন— মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এর সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কেমন হবে, তা এখনো বলা কঠিন। কারণ, বিষয়টি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন