আতঙ্ক! ট্রাম্পের সুরে সুর, সুদের হার কমাতে চাপ ফেডারেল কর্মকর্তাদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কিছু কর্মকর্তা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তারা এমনটা বলছেন।

সম্প্রতি, ফেডারেল রিজার্ভের ভাইস চেয়ার মিশেল বোম্যান সুদের হার দ্রুত কমানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। খবর অনুযায়ী, আগামী জুলাই মাসেই এই হার কমানো হতে পারে।

সোমবার দেওয়া এক বক্তব্যে বোম্যান বলেন, শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সুদের হার কমানো উচিত। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে, আগামী বৈঠকে সুদের হার কমানোর পক্ষে তিনি সমর্থন জানাবেন।

এর আগে, ফেডারেল রিজার্ভের আরেক গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালাও ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। তিনি জানান, বাণিজ্য শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতি খুব সামান্যই বাড়বে। বোম্যান এবং ওয়ালা দুজনেই ট্রাম্পের সময়ে ফেডারেল রিজার্ভে নিয়োগ পান।

দীর্ঘদিন ধরেই, ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন, আগে দেখতে চান এই পরিবর্তনগুলো মার্কিন অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলে।

এর পরেই সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফেডারেল রিজার্ভ সর্বশেষ বৈঠকে টানা চতুর্থবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের মূল কাজ হল মুদ্রানীতি তৈরি করা। তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল সুদের হার নির্ধারণ করা।

সাধারণত, সুদের হার কমালে বিনিয়োগ বাড়ে এবং অর্থনীতির গতি আসে। অন্যদিকে, সুদের হার বাড়ালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হয়।

এই মুহূর্তে, ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের এই ভিন্নমত এবং সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, এর প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ এবং মুদ্রা বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর একটি পরোক্ষ প্রভাব দেখা যেতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায়, ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এখন সবার নজর।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *