মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সম্প্রতি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে চিহ্নিত করেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে।
ফেডারেল রিজার্ভের এমন পদক্ষেপে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা বুধবার তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, চলতি বছর মার্কিন জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ১.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা আগে তারা ২.১ শতাংশ হবে বলে ধারণা করেছিলেন। একইসঙ্গে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে ২.৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে, যা আগে ছিল ২.৫ শতাংশ।
ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করে বলেছেন, এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ “অস্বাভাবিকভাবে অনিশ্চিত”। ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
যদিও ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৪.২৫ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে অপরিবর্তিত রেখেছে, তবে ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডও সুদের হার স্থিতিশীল রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ককে ঢেলে সাজাতে আগ্রাসী শুল্ক নীতি গ্রহণ করেছেন।
অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কারণে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
তবে ট্রাম্পের দাবি, বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে আমেরিকার অর্থনীতির উন্নতি হবে। ফেডারেল রিজার্ভের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষ করে, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এর কিছু প্রভাব দেখা যেতে পারে।
ফেডারেল রিজার্ভের এই সিদ্ধান্তের পর শেয়ার বাজারে সামান্য উত্থান দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান